মেহেরপুরে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে কাঁঠাল

নিজস্ব প্রতিবেদক
এস এম তারেক হোসেন, জেলা প্রতিনিধি মেহেরপুর
প্রকাশিত: রবিবার ১৫ই মে ২০২২ ০৫:৫২ অপরাহ্ন
মেহেরপুরে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে কাঁঠাল

মেহেরপুরের তিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে কাঁঠাল ফল।আশানুরূপ কাঁঠাল দেখে সন্তুষ্ট কাঁঠাল বাগান মালিকরা।আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে কাঁঠাল।বাগান মালিকরা শুরু করেছে পরিচর্যা।ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে তরকারি খাওয়ার জন্য কাঁচা কাঠাল বিক্রয়।আর কিছুদিন পরেই পাকা কাঁঠালের ঘ্রাণ ছড়াবে গাছে গাছে।এরপর আসবে পাইকারি বাজারে।অনেকে আবার অগ্রিম টাকা দিয়ে কেনার প্রক্রিয়া শুরু করে।


সরেজমিনে গিয়ে উপজেলার কাজিপুর,বামন্দী,তেরাইল,জোড়পুকুর, তেঁতুলবাড়িয়া,হাড়াভাঙ্গা,ষোলটাকা,রাইপুর,ভরাট,দেবীপুর,ঝোড়াঘাট সহ বিভিন্ন এলাকার বাগান,বাড়ির আঙিনা ও রাস্তার পাশের দেখা গেছে গাছে শোভা পাচ্ছে কাঁঠাল ফল । 


এসব কাঁঠাল কাচা, পাকা ও আধা পাকা অবস্থায় পাইকারী বাজার নিয়ে আসে বিক্রেতারা।আবার অনেক বাগান মালিকরা বাগান থেকেই বিক্রি করে দেয় ব্যবসায়ীদের কাছে।ব্যবসায়ীরা এসব কাঁঠাল ট্রাকভর্তি করে বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যায়। 


কাঠাল বাগান মালিক বাবর আলী জানান,এবছর বাগানে অনেক কাঁঠাল ধরেছে।কাঁঠাল উৎপাদন আলাদা তেমন কোনো যত্ন নিতে হয় না বলে এর উৎপাদন খরচও কম।আর এতে কম খরচ করে লাভও বেশি হয়।আশা করি এবছর কাঁঠালে ভালো লাভ হবে।


দেবীপুর গ্রামের কাঁঠাল বাগান মালিক জামাল উদ্দিন জানান,গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে কাঁঠাল ফল।এবার বাগানের অনেক কাঁঠাল এসেছে।আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে  দাম ভালো পাওয়া যাবে। তাছাড়া কাঁঠাল ফল খেতেও সুস্বাদু।


করমদী গ্রামের মোঃ রতন আলী জানান,কাঁঠাল পাকা খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি কাঁঠালের তরকারিও খেতে অনেক ভালো লাগে।আর কাঁঠালের তরকারি পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে।আমার বাড়ির আঙ্গিনায় কাঁঠালের গাছ রয়েছে। কাঁঠালও অনেক ধরেছে।আশা করছি এবার খাওয়ার পরও কিছু কাঠাল বিক্রি করবো।


দেবীপুর গ্রামের ইলিয়াস হোসেন জানান,আমি আজ একটি কাঁঠাল কিনে এনেছি।এসময় কাঁঠালের দাম একটু বেশি থাকে।কেজি প্রতি প্রায় ৩০-৪০ টাকা পড়ে।আর কাঁঠালের তরকার রুটি দিয়ে খেতে খুব ভালো লাগে।তবে কাঁঠাল যখন পরিপূর্ণ ভাবে উঠবে তখন দাম কমে যাবে। 



গাংনী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে গাংনী উপজেলায় ৬০ হেক্টর জমিতে কাঁঠালের চাষ হচ্ছে।এবছর গাছে অনেক কাঁঠাল এসেছে।প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পচা রোগ না হলে আশা করা যাচ্ছে এবছর ভালো ফলন হবে। 


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন জানান,বর্তমানে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে কাঁঠাল।তাছাড়া কাঁঠাল অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল।কাঁঠাল গাছের পাতা থেকে শুরু করে প্রতিটি অংশই ব্যবহার করা যায় যা অন্যান্য ফসলের তুলনায় এটি লাভজনক।