প্রকাশ: ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৬:২৮
খাগড়াছড়ি শহরের চেঙ্গী স্কয়ার এলাকায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের কারণে এলাকার পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে পড়ে এবং পথচারীরা আতঙ্কিত হয়ে ছত্রভঙ্গ হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এক পর্যায়ে চেঙ্গী স্কয়ার এলাকায় তারা মুখোমুখি হলে ইটপাটকেল ও গুলতি ছুঁড়ে ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
ইউপিডিএফ (প্রসিত গ্রুপ)-এর পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে, তারা সদর উপজেলা পরিষদ মাঠ থেকে “ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন দিবস” উপলক্ষে মিছিল নিয়ে সমাবেশে যাচ্ছিলেন। সেখানে হঠাৎই প্রতিপক্ষের হামলার মুখে পড়েন। এ সময় অনাদি চাকমা নামে তাদের এক নারী কর্মী আহত হন।
প্রসিত গ্রুপের জেলা সংগঠক অংগ মারমা বলেন, “সরকারি বাহিনীর প্রত্যক্ষ মদদে সরকারপন্থী গোষ্ঠী আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা চালিয়েছে। তারা প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং পরে গুলি চালায়।”
অন্যদিকে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক গ্রুপ)-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অমর জুতি চাকমা দাবি করেন, তারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশে যোগ দিতে চেঙ্গী স্ক্যায়ার এসেছিলেন। তাঁর দাবি, “প্রথমে ওরা হামলা চালিয়েছে এবং আমরা পালিয়ে গেছি। গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেনি।”
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “ইউপিডিএফের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
এই সংঘর্ষে এখনো পর্যন্ত কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেনি। এলাকাবাসী আশ্বস্ত হয়েছেন পুলিশের তৎপরতা দেখে। তবে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই ঘটনা নতুন করে উত্তেজনার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
খাগড়াছড়ির রাজনৈতিক পরিবেশে ইতোমধ্যে বিভিন্ন দল ও গোষ্ঠীর মধ্যে মতানৈক্য ও সংঘর্ষের ঘটনা মাঝে মাঝে ঘটছে। এটি শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য উদ্বেগের বিষয় বলে স্থানীয়রা মনে করছেন। প্রশাসনের দৃষ্টিতে দ্রুত স্থিতিশীল পরিস্থিতি ফেরানো অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে।