প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:১৫
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে আলোচিত নুরাল পাগল ঘটনার পর তদন্ত ও আইন প্রয়োগ নিয়ে স্পষ্ট অবস্থান জানিয়েছেন ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ছিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, যিনি প্রকৃত অপরাধী তাকেই গ্রেফতার করা হবে। যার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যাবে এবং অপরাধ প্রমাণিত হবে কেবল তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসনের ভেতরে কিংবা বাইরে কেউ জড়িত থাকলেও কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
সোমবার দুপুরে গোয়ালন্দে ধ্বংসস্তূপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও জানান, সবকিছুই করা হচ্ছে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে। ভিডিও ফুটেজ, গোয়েন্দা তৎপরতা এবং প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে প্রকৃত অপরাধীকেই আইনের আওতায় আনা হবে।
অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, গণগ্রেফতার বলে কিছু হচ্ছে না। আইনকানুন মেনে সীমিত পরিসরে গ্রেফতার করা হচ্ছে। জনগণ যাতে ভুল বুঝে না বসে সে বিষয়েও তিনি সতর্ক করেন। তার দাবি, এ পর্যন্ত যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা সবাই নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই ধরা পড়েছে।
তিনি বলেন, একটি সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ থাকতে পারে। সেখানে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি যেমন হতে পারে, তেমনি অশান্তিও তৈরি হতে পারে। তবে নাশকতা বা অপরাধে সবাই জড়িত থাকে না। যারা আইনশৃঙ্খলা ভেঙেছে কেবল তারাই আইনের আওতায় আসবে। সবার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া বা সবাইকে গ্রেফতার করা আইনসঙ্গত নয়।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং সাদা পোশাকে পুলিশ তৎপর রয়েছে। প্রতিটি অভিযোগ তদন্তের ভিত্তিতে যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জনগণকে সুবিচার দেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি।
নুরাল পাগল ঘটনার তদন্তে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করা হবে না। অপরাধীরা যেই হোক না কেন, তাদের আইনের মুখোমুখি হতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী জেলা পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু রাসেল এবং গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম। নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলেন, গোটা ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনার তদন্তে পুলিশ প্রশাসনের কঠোর অবস্থান এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা এলাকায় নতুন বার্তা দিয়েছে। সাধারণ মানুষ আশা করছেন, প্রকৃত অপরাধীরা আইনের আওতায় আসবে এবং নিরপরাধরা কোনো হয়রানির শিকার হবে না।