প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৫, ১১:১১
শনিবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় হাকিমপুর সীমান্ত ফাঁড়ির কাছে বাংলাদেশ পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে আটক করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে নিরাপত্তার কারণে তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, নিয়মিত টহল চলাকালীন বিএসএফ জওয়ানরা ওই কর্মকর্তা কে আটক করে এবং তার কাছ থেকে কিছু পরিচয়পত্র উদ্ধার করে। এই পরিচয়পত্র নিশ্চিত করেছে যে তিনি একজন জ্যেষ্ঠ বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আটক কর্মকর্তাকে তৎক্ষণাৎ আটক করা হয় এবং আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ভারতীয় কর্মকর্তারা জানান, অবৈধভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের চেষ্টা এবং একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসাবে তার উপস্থিতি বিরল ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
তদন্ত চলছে কর্মকর্তার প্রবেশের কারণ এবং তিনি স্বাধীনভাবে কাজ করছিলেন নাকি অন্য কোনো নেটওয়ার্কের পক্ষে তা যাচাই করার জন্য। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
একজন ঊর্ধ্বতন ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, এই ধরনের ঘটনা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিরন্তর নজরদারির গুরুত্ব আরও উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরে। এজন্য রাজ্য পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় জোরদার করা হয়েছে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের দৈর্ঘ্য প্রায় ৪,৯৬০ কিলোমিটার এবং এটি বিশ্বের দীর্ঘতম আন্তর্জাতিক সীমান্তগুলোর মধ্যে একটি। সীমান্তে প্রায়শই অনুপ্রবেশ, চোরাচালান এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের অভিযোগে বাংলাদেশিদের আটক করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রায় ২,২১৭ কিলোমিটার এই সীমান্তে বিস্তৃত।
সীমান্তে নিরাপত্তা ও নজরদারি বৃদ্ধি করা হলেও এ ধরনের ঘটনা বিরল হলেও ঘটতে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সীমান্তের দীর্ঘায়ু ও বিস্তৃত ভূখণ্ডের কারণে নিয়মিত তল্লাশি এবং আধুনিক নজরদারি প্রযুক্তি প্রয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই ঘটনার মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উভয় দেশের সহযোগিতা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার গুরুত্ব আরও স্পষ্ট হয়েছে। সীমান্তের সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে দুই দেশের প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় অত্যন্ত জরুরি।