লাভের আশায় খামারি ও ব্যবসায়ীরা হাজার হাজার পশু বিক্রির জন্য ঢাকার হাটে নিয়েছিলেন। কিন্তু প্রত্যাশিত দামে বিক্রি না হওয়ায় খামারি ও ব্যবসায়ীরা তাদের এসব পশু ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নদী পার হয়ে বুধবার সকাল থেকে পশু নিয়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে অসংখ্য খামারি ও ব্যবসায়ীরা কয়েক হাজার পশু বিক্রির জন্য নিয়েছিলেন ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন হাটে।
করোনাভাইরাসের প্রভাবে মানুষের কাছে অর্থের সংকট থাকায় অনেকেই এবার কোরবানি দেননি। এজন্য গরুর চাহিদা কম ছিল। ফলে দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চল থেকে নেওয়া অর্ধেক গরুও বিক্রি হয়নি।
বুধবার ঈদের দিনেও অসংখ্য পশুবাহী ট্রাককে দৌলতদিয়া ঘাটে নদী পার হয়ে যেতে দেখা যায়। খামারি ও ব্যবসায়ীদের চোখে-মুখের দিকে তাকালে বোঝা যায়, কতটা হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় কথা হয় একাধিক খামারি ও ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তারা বলেন, এবার গরুতে লাভ হয়নি, ক্ষতি হয়েছে। হাটে ক্রেতা ও দাম কম থাকায় খুব বেশি পশু হয়নি। লকডাউনের কারণে ক্রেতাদের চাহিদা থাকলেও পকেটে টাকার অভাবে তারাও পশু কিনতে পারেনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃৃৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ম্যানেজার মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, গতকাল থেকেই পশুবাহী ট্রাক ফিরছে দক্ষিনঞ্চালে। ঈদের দিনেও সড়কে পশুবাহী ট্রাকের চাপ রয়েছে। বেশিরভাগ গাড়িগুলোই গরুবোঝাই রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।