ইলিশের পর এবার "প্রজেক্ট তেলাপিয়া"

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১০ই জুন ২০২১ ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন
ইলিশের পর এবার "প্রজেক্ট তেলাপিয়া"

‘প্রজেক্ট হিলসা’ পর এবার "প্রজেক্ট তেলাপিয়া" নজর কাড়ছে সবার। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে "প্রজেক্ট তেলাপিয়া"। 



স্যোস্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটের অদূরে নির্মিত  ইলিশের আদলে তৈরি ‘প্রজেক্ট হিলসা’ রেস্তোরাঁ। রেস্তোরাঁটি উদ্বোধনের কয়েকদিনের মধ্যেই খাবারের মান, উচ্চমূল্য ও পরিবেশনে ঢিলেমির অভিযোগ উঠেছে রেস্তোরাঁ বিরুদ্ধে।



এ নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করে অন্যদের যেতে নিরুৎসাহিত করছেন কেউ কেউ। সার্ভিস চার্জ নিয়েও ক্ষোভ ঝাড়ছেন অনেকে। আর এসব আলোচনা-সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছে ফেসবুক।



এমন পরিস্থিতিতে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে আরো একটি ছবি। যেখানে দেখা গেছে, তেলাপিয়া মাছের আদলে কয়েকতলা বিশিষ্ট একটি ভবন। ছবিটির ক্যাপশনে বলা হচ্ছে ‘প্রজেক্ট তেলাপিয়া’।



অনেকেই ছবিটি শেয়ার করে বলছেন, ‘প্রজেক্ট হিলসা’কে টেক্কা দিতে এলো রেস্তোরাঁ ‘প্রজেক্ট তেলাপিয়া’। এখানে খাবারের দাম অনেক কম। 



কেউবা ভবনটির ছবি আপলোড করে লিখছেন, ‘দামে কম মানে ভালো প্রজেক্ট তেলাপিয়া’।



‘প্রজেক্ট তেলাপিয়া’ দেখে উৎসক নেটনাগরিকরা এর অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইছেন। সেখানে কি তেলাপিয়া মাছের রান্না হচ্ছে কি না, আর রেস্তোরাঁটি কোথায়?



গুগল সার্চ করে যা জানা গেছে, ‘প্রজেক্ট তেলাপিয়া’র অবস্থান বাংলাদেশে নয়। আসলে এ নামে কোনো রেস্তোরাঁই নেই কোথাও। তবে হ্যা, তেলাপিয়া মাছের আদলে তৈরি এ ভবনটির অস্তিত্বের সন্ধান দিয়েছে গুগল।



এটি ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদে অবস্থিত। এ ভবনটি দেশটির জাতীয় মৎস্য উন্নয়ন বোর্ডের (এনএফডিএ) প্রধান কার্যালয়।



সংস্থাটির ওয়েবসাইটে ঢুঁ মেরে যা পাওয়া গেছে, হায়দরাবাদ শহরে ২০০৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মৎস্য উন্নয়ন বোর্ডের ঘোষণা দেয়া হয়। দেশটির মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০০৬ সালে জাতীয় মৎস্য উন্নয়ন বোর্ড গঠন করা হয়। 



এরপর এই মাছ আকৃতির ভবন নির্মাণ করে ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে একে অফিস হিসেবে ব্যবহার শুরু করে ভারতীয় মৎস্য উন্নয়ন বোর্ড।



মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ও বিলুপ্ত প্রায় মাছ সংরক্ষণে পুরো ভারতজুড়ে কাজ করে সংস্থাটি। ভবনটি ১০তলা বিশিষ্ট। মাটির সঙ্গে শুধু কিছু পিলার দিয়ে সংযুক্ত। সিঁড়ি ছাড়াও দুটি টানেলে নিচ থেকে ভবনে ওঠার জন্য লিফটের ব্যবস্থা রয়েছে।



ভবনটির সুরক্ষায় বেশ কড়াকড়ি আরোপ করেছে এনএফডিএ। এতে দাপ্তরিক কাজ ছাড়া কোনো দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারেন না।