করোনায় দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষের আয় কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: রবিবার ২৮শে জুন ২০২০ ০৭:০৭ অপরাহ্ন
করোনায় দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষের আয় কমেছে

মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯ ) এর সংক্রমণ রোধে গত মার্চের শেষের দিকে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে সারা দেশে ৯৫ শতাংশ মানুষের আয় কমেছে। এতে নিত্য প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে বেশির ভাগ মানুষকে। এ অবস্থায়, শুধু নিম্নবিত্ত নয় সবার জন্য নতুন করে পরিকল্পনার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের। পরিস্থিতির উত্তরণে সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান পরিকল্পনামন্ত্রীর।

করোনা দুর্যোগে ব্যবসা গুটিয়ে আনার গল্পই বলছিলেন রাজধানীর কাঁঠালবাগানের এই বাসিন্দা। জীবিকা বাঁচানোই এখন দায় হয়ে উঠেছে তার জন্য। একই অবস্থা রাজধানীর শপিং মলগুলোরও। একটি শপিং মলে গিয়ে দেড় ঘণ্টায় চোখে পড়ে মাত্র তিনজন ক্রেতা।

বিক্রেতারা বলেন, মাঝে মাঝে দু একজন ক্রেতা আসলেও চলতো। সেটাও আসে না। আমি নিজেও চলতে পারছি না। তাই দুজন স্টাফকে না বলে দিছি। এ অবস্থায় শুধু সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া সব শ্রেণীর মানুষকেই জীবন যাপনের ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সম্প্রতি ব্র্যাকের এক গবেষণায় দেখা যায়, কোভিড -১৯ এর প্রভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকির শঙ্কা এবং দুই মাসের লকডাউনে দেশে প্রায় শতভাগ মানুষের আয় কমেছে।

এদিকে, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা সংস্থা- বিআইডিএস এর তথ্য বলছে, করোনায় ৫ হাজারের কম আয়ের মানুষের ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত আয় কমেছে, ৫-১৫ হাজার আয়ের মানুষের ৫০ শতাংশ আর ১৫ থেকে ৩০ হাজার আয়কারীদের উপার্জন কমেছে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত। তবে, পণ্যের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ। এ অবস্থায়, বিশ্লেষকদের পরামর্শ এখনই সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে হবে সরকারকে।

অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, অনেকেই চাকরী বা ব্যবসা হারিয়েছেন। সবার আয় কমে গেছে। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানালেন, সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এই সঙ্কটে সব আয়ের মানুষের জন্য কাজ করছেন তারা। তিনি বলেন, সরকার চেষ্টা করছে। এসএমই খাতের জন্যেও বরাদ্দ দিচ্ছে। 

করোনা ভাইরাসের কারণে এই অর্থনৈতিক মন্দা স্বাভাবিক হতে কত সময় লাগবে তা জানা নেই কারোরই। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ অবস্থায় সরকারের নেয়া নানা উদ্যোগে সুশাসন নিশ্চিত না হলে ভয়াবহ ঝুঁকিতে পরবে দেশের করোনা পরবর্তী অর্থনীতি।