দেবীদ্বারে মিথ্যা অপহরণ মামলায় হয়রানির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
শফিউল আলম রাজীব, উপজেলা প্রতিনিধি - দেবীদ্বার, কুমিল্লা
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৯ই মে ২০২৪ ০৭:৪৯ অপরাহ্ন
দেবীদ্বারে মিথ্যা অপহরণ মামলায় হয়রানির অভিযোগ

কুমিল্লার দেবীদ্বারে মিথ্যা অপহরণ মামলায় হয়রানি করায় সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে সম্মানহানির অভিযোগ এনে মোঃ মাহফুজুর রহমান (সবুজ) মিয়া নামে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভোক্তভোগী মোটর চালক লীগ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ খান।


বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর সেরাজুল হক কলেজ মাঠে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।


সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী আব্দুল আজিজ খান বলেন,  মোবাইল ফোনে যশোর জেলার অশ্বিনী বিশ্বাস নামে হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক যুবকের সাথে কুমিল্লার মৌসুমী আক্তার নামে মুসলিম এক যুবতীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। 

অশ্বিনী কুমার বিশ্বাস প্রকাশ মো. মিলন মিয়া (৩২) যশোর জেলার কোতয়ালী থানার ফতেপুর গ্রামের মন্টু বিশ্বাসের পুত্র এবং মৌসুমী আক্তার (২৫) কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের কণ্যা।


হিন্দু যুবক অশ্বিনী বিশ্বাস হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম ধর্ম গ্রহন করে মো. মিলন মিয়া নাম গ্রহন পূর্বক ওই মুসলিম যুবতী মিলন আক্তারকে বিয়ে করেন। প্রায় দু’বছর সংসার জীবন অতিবাহীত করার পর মৌসুমী আক্তার তার বাবার বাড়িতে চলে আসে এবং আর স্বামীর কাছে যাবেনা বলে তার স্বামীকে জানিয়ে দেয়। 

এ ঘটনায় গৃহবধূ মৌসুমী আক্তারের প্রতিবেশী শ্রীপুর গ্রামের আবুল কাসেমের পুত্র সবুজ মিয়া মিলন মিয়াকে দিয়ে তার স্ত্রী অপহরন এবং ২ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে শ্বশুর, ভায়রাভাই ও প্রতিবেশী আব্দুল আজিজ খানকে চাঁচা পরিচয়ে ৪ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। ওই ঘটনায় দেবীদ্বার থানা পুলিশ তদন্তস্বাপেক্ষে ওই অপহরনের ঘটনার কোন সত্যতা খুঁজে পায়নি।

 

সংবাদ সম্মেলনে মিলন মিয়া জানান, আমি আজিজ খান নামে কাউকে চিনিনা, সবুজের সাথে আজিজ খানের পূর্ববিরোধ ছিল। আমাকে বাদী করে থানায় দায়ের করা অভিযোগপত্রে আজিজ খানকে চাঁচা পরিচয়ে এবং ২ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ করা হয়েছে, যা ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।


এ ব্যপারে অভিযুক্ত মাহফুজুর রহমান (সবুজ) জানায়, আজিজ খানের সাথে আমার পূর্ব বিরোধ রয়েছে সত্য এবং আজিজ খানই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানী করেছে। অপহরন মামলা করেছে মিলন মিয়া অথচ আমাকে এই ঘটনায় উদ্দেশ্যে প্রণোদিত  ভাবে জড়ানো হয়েছে।


সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আব্দুল মজিদ মিয়া, মো. আব্দুল কুদ্দুস, আমির হোসেন, তাজুল ইসলাম প্রমূখ।


এবিষয়ে স্থানীয় এলাহাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, স্বামী- স্ত্রীর বিরোধ ছিল তা নিষ্পত্তি করে দিয়েছি। তবে আব্দুল আজিজ খানের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ২ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগটি ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা।


এ ব্যপারে দেবীদ্বার থানার সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সাদ্দাম হোসেন জানান, অপহরনের অভিযোগের বিষয়টি তদন্তে কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।