বিপিএল'র প্রথম ম্যাচে কষ্টার্জিত জয় ফরচুর বরিশালের

নিজস্ব প্রতিবেদক
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার ২১শে জানুয়ারী ২০২২ ০৫:০৬ অপরাহ্ন
বিপিএল'র প্রথম ম্যাচে কষ্টার্জিত জয় ফরচুর বরিশালের

বিপিএলের প্রথম ম্যাচে কষ্টার্জিত জয় পেয়েছ ফরচুন বরিশাল। উদ্বোধনী ম্যাচে ৪ উইকেটে জয় পায় সাকিবের দল। এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বল ছক্কা দিয়ে শুরু করলেও বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি চট্টগ্রাম। সাকিব-নাঈম-জোসেফের দারুণ বোলিংয়ে ১২৫ রানে শেষ হয় চট্টগ্রামের ইনিংস।


১২৬ রানের তাড়ায় প্রথমেই বরিশাল শিবিরে ধাক্কা দেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক মিরাজ।


সাকিবদের জন্য লক্ষ্যটা হাতের নাগালেই ছিল। জিততে হলে করতে হতো মাত্র ১২৬ রান। আধুনিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটা মামুলি লক্ষ্যই বলা চলে। কিন্তু খেলা হচ্ছে তো মরা পিচ মিরপুরে। শের-ই-বাংলার উইকেট নিয়ে শত-সহস্র সমালোচনা চললেও এসবে থোরাই কেয়ার কর্তাব্যক্তিদের। আর তাই মিরাজের চট্টগ্রামের বিপক্ষে জিততে হলে সাকিবের বরিশালকে খেলতে হতো সাবধানে পা ফেলে।


মিরাজের চট্টগ্রামের দেওয়া সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে সাকিবরা। নাসুমের প্রথম ওভার বরিশাল ফরচুনের দুই উদ্বোধনী ব্যাটার সৈকত আলি এবং নাজমুল হাসান শান্ত মিলে কোনোরকমে পার করতে পারলেও দ্বিতীয় ওভারেই মাত্র ১ রান করে কাটা পড়েন শান্ত। তাকে ফেরান চট্টলা কাপ্তান মেহেদী মিরাজ।


শান্তকে আউট করার পর মিরাজের দ্বিতীয় শিকার বরিশাল অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এক ক্যাপ্টেন ফেরালেন আরেক ক্যাপ্টেনকে। ‘আনলাকি থার্টিনে’ কাটা পড়লেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। অল্প পুঁজি নিয়েও মিরাজের জোড়া আঘাতে ম্যাচে ফিরে চট্টলার দলটি। এ যেন ‘ক্যাপ্টেন লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট’।


বিপিএলকে বলা হয় তরুণদের সামর্থ্য প্রমাণের সবচেয়ে বড় মঞ্চ। এবারের আসরে তরুণতুর্কিদের মধ্যে পাদপ্রদীপের আলোতেই ছিলেন সাকিবের বরিশালের হয়ে খেলা তৌহিত হৃদয়। সাকিব ফেরার পর নিজেকে প্রমাণের দারুণ সুযোগ ছিল তার সামনে। কিন্তু ১৭ বলে ১৬ রানের না ওয়ানডে না টেস্ট দুটোর মাঝামাঝি মানের ইনিংস খেলে বিদায় নিয়েছেন এ ব্যাটার। আরেক তরুণ বোলার মুকিদুলের বলে লুইসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন তিনি।


বরিশালের একপ্রান্তের ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে অন্য প্রান্ত আগলে রাখা সৈকতকে ৩৫ বলে ৩৯ রানের সময়োপযোগী ইনিংস খেলার পর আউট করার পর ফেরান ভয়ংকর হয়ে উঠা ইরফান শুক্কুরকেও। এরপর আফিফের রানআউটের শিকার হন সালমান। সবমিলিয়ে চট্টলার জন্য ইমফ্যাক্টফুল ওভার শেষে খাদের কিনারায় ছিল বরিশাল। তবে শেষ দিকে ব্যাট করতে নামা ডোয়াইন ব্রাভোদের কল্যাণে জয় পেতে বেগ পেতে হয়নি সাকিবের। ‘বড়’ দলের বিপক্ষে ভালো খেলার কথা বলেছিলেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ। 


কিন্তু টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় তাদের ইনিংস থেমে গেছে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২৫ রানে। এর আগে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সাকিবের ফরচুন বরিশাল। অধিনায়ক সাকিবের সিদ্ধান্তটা যে ঠিক ছিল, সেটির প্রমাণ দেন তার বোলাররা।