উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নিতে বোর্ডের সেকশন অফিসার পরিচয়ে ফোন!

নিজস্ব প্রতিবেদক
আতিকুর রহমান, জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: রবিবার ২২শে মে ২০২২ ০৮:৩৩ অপরাহ্ন
উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নিতে বোর্ডের সেকশন অফিসার পরিচয়ে ফোন!

শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নিতে এবার গাজীপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার হিসেবে এক প্রতারক নিজেকে সাজ্জাদ পরিচয় দিয়ে ফোন করেছে। ঝিনাইদহের সিনিয়র সাংবাদিক আসিফ কাজলের মুঠোফোনে রোববার ৫.০৫ মিনিটে ফোন করে। এর আগে শনিবার সন্ধ্যা ৬.৪৮টার সময় শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনির নাম ভাঙ্গিয়ে ০১৯৫৩৯৮৪১২৯ ম্যাসেজ পাঠায়। 


ম্যাসেজে লেখা ছির “প্রিয় শিক্ষার্থী তোমাদের উপবৃত্তির ৪২০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে। টাকা গ্রহনের জন্য নি¤েœাক্ত শিক্ষাবোর্ডের ০১৮৪২৮৩৪৯১৬ নাম্বারে যোগাযোগ করুন- শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি। 


এই ম্যাসেজ পাঠানোর একদিন পর প্রতারক উপবৃত্তি সংক্রান্ত কোন ম্যাসেজ পেয়েছেন কিনা তা জানতে রোববার বিকালে সাংবাদিক আসিফ কাজলের কাছে জানতে চান। হ্যা সুচক উত্তর পেয়ে ওই প্রতারক কোন নাম্বার বিকাশ করা ও শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। 


সাংবাদিক আসিফ কাজল প্রতি উত্তরে বলেন, আমার মেয়েরা তো যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পড়ালেখা করে। গাজীপুর শিক্ষাবোর্ড কেন ফোন করবে ? আর শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনিই বা কেন এ ধরণের ম্যাসেজ পাঠাবেন। এ কথা শুনে প্রতারক তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে এবং বলে “এই ! মুর্খের লগেন কথা বলছেন কেন ? কথা ভালো করে বোঝেন, এটা গাজীপুর জাতীয় শিক্ষাবোর্ড। এখান থেকে বাংলাদেশের সকল বোর্ড পরিচালিত হয়। দেশে একটাই বোর্ড সেটা গাজীপুরে। 


উত্তরে সাংবাদিক আসিফ কাজল বলেন, এখান থেকে কি কোন সেকশান অফিসার বা প্রফেসর শিক্ষার্থীর অভিভাবককে ফোন দেয় ? জবাবে প্রতারক অশ্লিল ভাষায় বলে ওঠে “ আপনি যে মুর্খের ন্যায় কথা বলছেন। ফোন রাখেন। মুরব্বী হয়ে মুর্খের মতো কথা বলছেন. গাধার কোথাকার”। 


তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহসহ সারা বাংলাদেশে এই প্রতারক চক্র শিক্ষর্থীদের উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নিতে জাল বিস্তার করেছে। এর আগে প্রাইমারির শিক্ষার্থীদের টাকা জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবার কখনো নগদের অফিসার সেজে গোপন পিন নাম্বার নিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। 


বর্তমান বিভিন্ন কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্রীদের উপবৃত্তির টাকা বরাদ্দা দেওয়া হচ্ছে। তাই এই টাকা হাতিয়ে নিতে প্রথমে ম্যাসেজ ও পরে সরাসরি ফোন করে শিক্ষার্থীর মোবাইল, বিকাশ বা নগদের গোপন পিন নাম্বারসহ গুরুত্বপুর্ন তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে।