দেবীদ্বারে বিদ্যালয়ে আসার পথে অষ্টম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে জহিরুল ইসলাম (২৪) নামে এক সিএনজি চালক অপহরনের পর শ্লীলতাহানীর চেষ্টাকালে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় উপজেলার মাশিকাড়া গ্রামের জোরপুল সড়কে। স্থানীয়রা জানান, আটক সিএনজি চালক জহিরুল ইসলাম(২৪) উপজেলার ধামতী গ্রামের রোসমত আলীর পুত্র। ভিক্টিম স্কুল ছাত্রী (১৪) উপজেলার মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী।
জহিরুল ইসলাম তার নিজস্ব সিএনজি নিয়ে মাশিকাড়া আসার পথে ওই স্কুল ছাত্রীকে পথিমধ্যে পেয়ে বিদ্যালয়ের সামনে নামিয়ে দেয়ার কথা বলে সিএনজিতে উঠায়।
সিএনজি চালক বিদ্যালয়ে না এসে উল্টোদিকে জোরপুল সড়কের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় ওই ছাত্রী সিএনজি থামাতে বললেও সে না থামিয়ে দ্রুত ‘দেবীদ্বার-চান্দিনা’ সড়কের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। এসময় ছাত্রীটি সূর চিৎকার শুরু করলে সিএনজি থামিয়ে ছাত্রীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী ঝোপে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। পথচারী ও পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন ছাত্রীটিকে উদ্ধার এবং সিএনজি চালককে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়।
সংবাদ পেয়ে দেবীদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) চন্দন চন্দ্র দাস একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপহরনকারী ও ভিক্টিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
এ ব্যপারে মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুক্তল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিদ্যালয়ে আসার পথে মেয়েটিকে অপহরণ এবং এক পর্যায়ে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করলে স্থানীয়দের সহায়তায় ভিক্টিমকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে মাশিকাড়া বাজারে আটক করে রাখে, পরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর জানান, সংবাদ পেয়ে আমাদের পুলিশ ভিক্টিমকে উদ্ধার এবং সিএনজিসহ অভিযুক্ত সিএনজি চালককে থানায় নিয়ে আসে। ভিক্টিমের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।