কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর শিলখুড়ি ইউনিয়নের পাগলারহাট বাজারে জিন্নাহ নামের পরকীয়া আসক্ত এক যুবক জনতার রোষানলে পড়েন। এসময় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে পুলিশ ওই যুবককে থানায় নিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের পাগলারহাট বাজারে এই ঘটনা ঘটে। জিন্নাহ ভূরুঙ্গামারীর শিলখুড়ি ইউনিয়নের উত্তর ছাট গোপালপুর গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।পাগলারহাট বাজারে তার একটি ওষুধের দোকান রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, জিন্নাহ পাগলারহাট বাজারে ওষুধের দোকান দিয়ে ওষুধ বিক্রির পাশাপাশি গ্রামের রোগীদের চিকিৎসা করেন। চিকিৎসার আড়ালে তিনি নারী রোগীদের সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলতেন।
এরই ধারাবাহিকতায় তিলাই ইউনিয়নের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ব্যক্তির স্ত্রীর (নাম গোপন রাখা হয়েছে) সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এই পরকীয়ার বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে তাকে নিয়ে কয়েক দফা সালিশ অনুষ্ঠিত হয়। এরপরও জিন্নাহ পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে আসছিলেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পাগলারহাট বাজার এলাকায় পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক অটুট রাখার অভিযোগে জিন্নাহকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে জাহাঙ্গীর আলমের স্বজনরা।
জিন্নাহর অপকর্মের বিষয়ে আগে থেকে অবগত এলাকাবাসী জাহাঙ্গীরের স্বজনদের পক্ষে অবস্থান নিলে পরকীয়া আসক্ত জিন্নাহ জনতার রোষানলের মুখে পড়েন।
খবর পেয়ে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে উত্তেজিত জনতা পরকীয়া আসক্ত জিন্নাহর কঠোর শাস্তি দাবী করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ জিন্নাহকে থানায় নিয়ে যায়।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে জিন্নাহকে থানায় আনা হয়েছিল। শিলখুড়ি ও তিলাই ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্ততায় বিষয়টি মিমাংসা হওয়ায় রাতেই শিলখুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামানের জিম্মায় জিন্নাহকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।