বর্তমান সময়ে ছোট আকৃতির শক্তিশালী অস্ত্রের মধ্যে অন্যতম উজি পিস্তল। বিভিন্ন দেশের সামরিকবাহিনী এই অস্ত্র ব্যবহার করে। পয়েন্ট টু টু ক্যালিবারের এই অস্ত্র বাংলাদেশে পুলিশ বা র্যাবের মতো বাহিনীও ব্যবহার করে না। কিন্তু ওপেন বোল্ট ও ব্লো-ব্যাক পরিবারভুক্ত এই আধা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিয়ে এবার ঢাকার রায়েরবাজার শাহ আলী গেট এলাকায় প্রকাশ্যে মাস্তানি করতে দেখা গেছে। ঘটনার চার দিনের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তি দেশ ছেড়ে পালিয়েছে বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগীরা।
এর আগে ২০২০ সালে মোহাম্মদপুরে মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রথম বাংলাদেশে এই অস্ত্র উদ্ধার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। বিদেশে সামরিকবাহিনী যে অস্ত্র ব্যবহার করে বাংলাদেশে সেই অস্ত্র বিক্রি হচ্ছে দোকানে। ২০২০ সালে ধরা পড়ার আগে এর খবর জানতো না আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। মাদক ব্যবসায়ীর কাছে ওই অস্ত্র পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। পরে পুলিশ জানতে পারে, ছয়টি অস্ত্র আমদানিকারী প্রতিষ্ঠান উজি আগ্নেয়াস্ত্র আমদানি করেছে। ২০১৫ সাল থেকে পয়েন্ট টু টু ক্যালিবারের ওই অস্ত্রগুলো আমদানি করা হয়।
গত বছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত দেশে মোট ১২১টি উজি পিস্তল আমদানি করা হয়। টু টু ক্যালিবারের এই পিস্তল এখনো পর্যন্ত বিক্রি হয় ৫৯টি। বাকি ৬২টি পিস্তল বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্সধারীদের কাছে বিক্রি করা যাবে।
তবে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর রায়েরবাজার শাহ আলী গেট এলাকায় এই অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে মাস্তানি করতে দেখা গেছে। জমি নিয়ে কলহের জের ধরে ওই দিন দুপুরে কয়েকজন ব্যক্তিকে সশস্ত্র অবস্থায় সেখানে দেখা যায়। এদের নেতৃত্বে ছিলেন তিন ভাই, সেলিম রহমান, নাসিম রহমান ও মাহবুবুর রহমান। এর মধ্যে উজি পিস্তল বের করে সেলিম রহমান, শর্টগান নিয়ে গুলি করতে যান নাসিম রহমান। এছাড়া মাহবুবুর রহমানের হাতে বিদেশি পিস্তল ছিল বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগীরা।
ঘটনার সময় তিন ভাই দলবল নিয়ে স্থানীয় হাবিবুর রহমান হাসু নামের এক ব্যক্তিকে খুঁজতে থাকে। শাহ আলী গেট এলাকায় হাসুকে পাওয়ার পর তার দিকে উজি পিস্তল ও শর্টগান তাক করে মারপিট করতে দেখা যায়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।