নওগাঁয় মাদকসেবীর মারধরে যুবক আহত

নিজস্ব প্রতিবেদক
রিফাত হোসাইন সবুজ, জেলা প্রতিনিধি, নওগাঁ
প্রকাশিত: রবিবার ২৭শে নভেম্বর ২০২২ ০৬:১০ অপরাহ্ন
নওগাঁয় মাদকসেবীর মারধরে যুবক আহত

নওগাঁয় মাদবসেবীর মারধরে আরিফুল ইসলাম রনক (৩০)  নামের এক যুবক আহত হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় শহরের  তুলসী গঙ্গা ব্রিজ এলাকায়  এ ঘটনা ঘটে। আহত রনক শহরের চক্ররামপুর মহল্লার ফারুক হোসেনের ছেলে। তিনি ঢাকা পোষ্ট নামের একটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। বর্তমানে রনক নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।


স্থানীয় ও ভুক্তভোগি সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে চক্ররামপুর মহল্লার শামসুল মোল্লার ছেলে সবুজ হোসেন তুলসী গঙ্গা ব্রিজ এলাকায় স্থানীয় লোকজনকে কোন কারণ ছাড়াই গালিগালাজ করছিলেন। এসময় আরিফুল ইসলাম রনক তাকে শান্ত করতে গেলে তিনি না শুনে গালিগালাজ করতে থাকেন। তখন রনক সেটা তার মোবাইলে ভিডিও ধারণ করতে লাগলে তার ওপর চাড়াও হয়ে মারধর করেন। এতে মারাত্বকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এরপর রনক থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলেও তাকে আটক করেনি। অন্যদিকে পুলিশ বলছে, ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম যাওয়ার পর অভিযুক্ত সবুজ পালিয়ে যায়। 


স্থানীয় বাচ্চু মন্ডল বলেন, অভিযুক্ত সবুজ মাদক সেবন করে নিয়মিত। ঘটনার সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। রনক মাদকসেবী সবুজকে অনুরোধ করে যাতে কাউকে অঝতা গালিগালাজ না করে। তখন তার কথা না শুনে পুণরায় স্থানীয়দের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে লাগলে রনক ভিডিও ধারণ করতে লাগে তার মোবাইল ফোনে। তখন সবুজ উত্তেজিত হয়ে রনককে মারধর করতে লাগলে আমরা রনককে উদ্ধার করি। পুলিশ আসার পরও সবুজ কিছুক্ষণ সেখানে উপস্থিত ছিল।


আহত রনক বলেন, ঘটনার সময় আমি সবুজকে অনুরোধ করি যাতে অঝতাই কাউকে গালিগালাজ না করে যেন চলে যায়। আমার অনুরোধ না শুনে সে সবাইকে গালিগালাজ করতে লাগলে আমি ফোনে ভিডিও ধারণ করতে শুরু করি। এসময় সে উত্তেজিত হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মারধর করতে শুরু করে। এতে আমার হাত,মুখ ও শরীরে মারাত্বকভাবে আঘাত পাই। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে। এরপর থানায় খবর দিলে এসআই মো.ফজলুসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে আসলে মাদকসেবী তখনও উপস্থিত ছিল। তবে পুলিশ তাকে আটক করেনি। পুলিশ আসার কিছুক্ষণ পর সে চলে যায় যায়। আমি থানায় অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। 


বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি ) ফয়সাল বিন আহসান মাহিন বলেন, ঘটনাটি জানার পর আমি সেখানে পুলিশের একটি টিমকে পাঠাই। তবে পুলিশ যাওয়ার পর সেখানে কোন মাদসেবীকে পাওয়া যায়নি। ভুক্তভোগি থানায় অভিযোগ করলে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।