প্রতারনার মাধ্যমে বিকাশে থাকা গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে নেয়া চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সেইসাথে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া ৩৩ হাজার ৫ শত টাকা, প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন,ব্যাংক লেনদেনের ২টি ডিপোজিট স্লিপ, একটি ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম কার্ড জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম- বিপিএম।
এরআগে সোমবার (৩ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ঢাকার হাজারীবাগ থেকে প্রতারক চক্রের ওই সদস্যকে গ্রেফতার করে মুলাদী থানা পুলিশ।
গ্রেফতার মোঃ শাহাদাত হোসেন মাতব্বর (৩২) মাদারীপুর জেলার শিবচর থানাধীন পাঁচ্চর ইউনিয়নের গোয়ালকান্দা এলাকার ইমরান মাতব্বরের ছেলে।
তবে এখনও এ চক্রের আরও ৩-৪ জন সদস্য পলাতক রয়েছে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, এ প্রতারক চক্রের কিছু সদস্য বিভিন্ন এলাকায় স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের উপবৃত্তির তথ্যসহ ফোন নম্বর সংগ্রহ করে। বাকি কিছু সদস্য মাদারীপুর বসে ভূয়া নিবন্ধিত সিম দিয়ে টার্গেট কে কল করে প্রতারণার বিভিন্ন কথা বলে এবং পরবর্তীতে তাদেরকে ফাদে ফেলে বিকাশ নম্বরের গ্রাহকের গোপন পিন কোড নিয়ে নেয়।
পরবর্তীতে গ্রাহককে বিভিন্ন অযুহাতে উক্ত একাউন্টে টাকা ক্যাশ ইন করতে বলে এবং প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের সব টাকা হাতিয়ে নেয়। অন্য দিকে মূল হোতা নিরাপদ স্থানে থেকে হাতিয়ে নেয়া টাকা অপরিচিত বিকাশ এজেন্টের মধ্যমে ক্যাশ আউট করে নিয়ে যায়।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, এমনি এক প্রতারনার অভিযোগে গত ৩ এপ্রিল দায়েরকৃত মামলার প্রেক্ষিতে মুলাদী থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মোঃ শাহাদাত হোসেন মাতব্বরকে গ্রেফতার করে।
প্রতারক চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, যেকোন ধরনের অপরাধ যেমন চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, অস্ত্র, চাঁদাবাজি, মাদক, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, নারী নির্যাতন, সাইবার অপরাধসহ সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্টকারী ঘটনার সাথে জড়িত যেকোন স্তরের ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনতে বরিশাল জেলা পুলিশ বদ্ধপরিকর।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ শাহজাহান হোসেন। মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুষার কুমার মন্ডল সহ প্রমুখ।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুষার কুমার মন্ডল জানান, ইন্টারমিডিয়েট এর এক কলেজ শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা বিকাশের যে অ্যাকউন্টে আসতো, সেই নাম্বারে কল দেয় প্রতারক চক্র। অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে প্রতারণার মাধ্যমে ওই কলেজ ছাত্রীর বিকাশ অ্যাকাউন্টের পাচওয়ার্ড নেয় প্রতারক চক্র। উপবৃত্তির টাকা থাকার পরও তারা বিকাশ একাউন্টটিতে আরও টাকা ঢোকাতে বলে। যা নিয়ে মোট ৫১ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র। এ ঘটনায় ওই কলেজ ছাত্রী থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারক চক্রের এ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।