গুপ্তধন পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভনে গৃহবধূকে গণধর্ষণ, ভণ্ড ফকির ও সহযোগী গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচ.এম.এ রাতুল, জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল।
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১৮ই জুলাই ২০২৩ ০৯:৪৩ অপরাহ্ন
গুপ্তধন পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভনে গৃহবধূকে গণধর্ষণ, ভণ্ড ফকির ও সহযোগী গ্রেপ্তার

বরিশাল জেলার বরিশাল সদর উপজেলার বন্দর থানায় গুপ্তধন পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছেন ভণ্ড ফকির ও তার সহযোগী।


আর এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ভণ্ড ফকির ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটনের বন্দর থানা পুলিশ।


গ্রেপ্তার ভণ্ড ফকির হেলাল হাওলাদার (৪৯) হলেন বরিশাল সদর উপজেলার কর্নকাঠি গ্রামের আশ্রাব আলী হাওলাদারের ছেলে এবং তার সহযোগী জাফর মীরা (৪৬) বরিশাল নগরের বেলতলা এলাকার ইউনুস মিয়ার বাসার ভাড়াটিয়া এবং কলাপাড়া উপজেলার গঙ্গামতি এলাকার লাল মীরার ছেলে।


থানা পুলিশ জানিয়েছে, ভণ্ড ফকির হেলাল হাওলাদার কর্নকাঠি এলাকার আমিরুল ইসলামের বাগান বাড়ির কেয়ারটেকার হিসেবে চাকরি করেন। তিনি নিজেকে ফকির দাবি করে ঝাড়-ফুঁক দেন। তার সহযোগী জাফর মীরা ওই নারী ও তার স্বামীকে গুপ্তধনের সন্ধান পাওয়ার প্রলোভন দেন। এজন্য নারীকে আসনে বসার কথা বলা হয়। এর মাধ্যমে গুপ্তধন পেলে নিজেরা ভাগবাটোয়ারা করে নেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়।


ওই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে গত ১৫ জুলাই বিকেলে ওই নারীকে জাফর মীরা কর্নকাঠি আমিরুল ইসলামের বাগান বাড়িতে ডেকে নেন। গভীর রাতে ওই নারীকে আসনে বসিয়ে নানা তন্ত্র-মন্ত্র ঝাড় ফুঁকের নাম করে ভণ্ড ফকির হেলাল ও জাফর মীরা পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। ভোরে ওই নারীকে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।


মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল জানান, এ ঘটনায় পরদিন বন্দর থানায় ওই নারী বাদী হয়ে পরস্পর যোগসাজশে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেন।


ওসি মুকুল বলেন, মামলা হওয়ার ১০ ঘণ্টার মধ্যে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুইজনের একজনকে নগরীর কাউনিয়া এবং অপরজনকে সাগরদী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার ভণ্ড ফকিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানিয়েছেন, লোকে তাকে ফকির উপাধি দিয়েছে। তিনি ঝাড়-ফুঁক দিলে লোকজন ভালো হয়েছে বলে দাবি করে তারা তার কাছে আসতেন। প্রকৃতপক্ষে কোনো তন্ত্র-মন্ত্রই তিনি জানেন না।


মামলার আসামিরা ওই নারীকে ধর্ষণের কথাও স্বীকার করেছেন জানিয়ে ওসি বলেন, তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে এবং ভুক্তভোগী নারীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।