ঢাবিতে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৫০ শিক্ষার্থী, শুরু আগামীকাল

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার ২৮শে এপ্রিল ২০২৩ ০৯:৪৬ অপরাহ্ন
ঢাবিতে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৫০ শিক্ষার্থী, শুরু আগামীকাল

উচ্চ মাধ্যমিকে থাকতেই শুরু হয় স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন। আসন সংখ্যা বিবেচনায় প্রতিটি শিক্ষার্থীকে অংশ নিতে হয় কঠিন ভর্তিযুদ্ধে।


উচ্চশিক্ষার প্রাচীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিকাংশ শিক্ষার্থীর আগ্রহের কেন্দ্রে থাকে। একারণেই কৌশলী হয়ে প্রস্তুতি নিতেও শুরু করেন অনেকে। এবার ঢাবি কর্তৃপক্ষ প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষাকে বৈশ্বিক মানদণ্ড বিবেচনায় নিয়ে নাম পরিবর্তন করেছে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম। প্রথমবারের মতো পুনর্গঠিত চারটি ইউনিটে ভর্তির আবেদন জমা পড়েছে প্রায় তিন লাখ।


শনিবার (২৯ এপ্রিল) চারুকলা অনুষদভুক্ত চ ইউনিট দিয়ে শুরু হচ্ছে এবারের ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম। পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, চারুকলা অনুষদের পরীক্ষার জন্য আমাদের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।


কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঢাবিতে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে চারুকলা ইউনিটের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা ২৯ এপ্রিল (শনিবার) বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ ভবন এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে অনুষ্ঠিত হবে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বেলা ১১টায় কলা ভবন পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।


ভর্তি সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ঢাবিতে মোট ৫ হাজার ৯৬৫ আসনের বিপরীতে ২ লাখ ৯৮ হাজার ৪২৯ জন ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছেন। চারুকলা অনুষদে পরীক্ষার্থী কম থাকায় ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলেও অবশিষ্ট তিনটি ইউনিটের পরীক্ষা বিভাগীয় শহরের বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা ৬ মে, বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা ১২ মে ও ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের পরীক্ষা ১৩ মে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা চলবে বেলা ১১ টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইট থেকে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।


ভর্তি নির্দেশিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি ইউনিটে ৬০ নম্বরের বহুনির্বাচনী ও ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। তবে চারুকলা ইউনিটের পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের বহুনির্বাচনী ও ৬০ নম্বরের অঙ্কন পরীক্ষা হবে। চারুকলা ইউনিটের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট ও লিখিত পরীক্ষার জন্য ৬০ মিনিট সময় থাকবে। অন্যান্য ইউনিটের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট ও লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় ঠিক করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। তার মধ্যে পরীক্ষায় ১০০ নম্বর এবং এসএসসি বা সমমান ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ওপর থাকবে ২০ নম্বর।


এদিকে ভর্তি পরীক্ষায় নিজেকে প্রমাণ করতে অনেকে মুখিয়ে আছেন। চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এইচএসসিতে উত্তীর্ণ হওয়া দিদার উদ্দীন বলেন, দ্বিতীয় বর্ষ থেকে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি, কোচিং করেছি। লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন কেমন হয় এটা নিয়ে একটু ভয়ে আছি। আশা করি ভালো করতে পারব।


সার্বিক বিষয়ে ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, আমাদের ঢাকার বাইরে যখন পরীক্ষা কেন্দ্র থাকবে তখন আমরা অধিকতর সতর্ক থাকব। লিখিত পরীক্ষা যুক্ত হওয়ায় এখন জালিয়াতি করার সুযোগ নেই।