কাতার বিশ্বকাপে মাঠে নামছেন তিন নারী রেফারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার ১৯শে অক্টোবর ২০২২ ০৬:৫৬ অপরাহ্ন
কাতার বিশ্বকাপে মাঠে নামছেন তিন নারী রেফারি

কাতার বিশ্বকাপে প্রথমারের মত ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন নারী রেফারি। ইতিহাসের অংশ হওয়া ঐ তিন নারী রেফারি হলেন ফ্রান্সের স্টিফেনি ফ্র্যাপার্ট, রুয়ান্ডার সেলিমা মুকানসানগা ও জাপানের ইওসিমি ইয়ামাশিতা।


বিশ্বকাপ পরিচালনার জন্য ফিফার তালিকাভুক্ত ৩৬ জন রেফারির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন এই তিন নারী রেফারি। এছাড়াও সহকারী রেফারি হিসেবে কাজ করবেন আরো তিনজন নারী রেফারি। তারা হলেন ব্রাজিলের নুয়েজা ব্যাক, মেক্সিকোর কারেন দিয়াজ মেডিনা ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাথরিন নেসবিট। 


ইতোমধ্যেই পুরুষ ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতা দিয়ে যোগ্যতার ভিত্তিতেই এই নারীরা কাতারে যাচ্ছেন। নারীদের বিশ্বকাপের মত বড় আসরে ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ করে দেওয়ার পর ফিফা রেফারি কমিটির প্রধান পিয়ারলুইজি কলিনা বলেছেন, ‘এখানে আমরা স্পষ্টভাবে একটি বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছি, সেটা হলো যোগ্যতা। এখানে নারী-পুরুষ আলাদা কোন মুখ্য বিষয় নয়।’


৩৮ বছর বয়সী ফরাসি স্টিফেনি ফ্র্যাপার্ট ইউরোপে শীর্ষ পর্যায়ে রেফারিং করে যে পরিমান প্রশংসা কুড়িয়েছেন তাতে বিশ্বকাপে তার সুযোগ পাওয়া ছিলো সময়ের ব্যপার মাত্র। ২০১৯ সালে ফরাসি লিগ ওয়ানে প্রথম নারী হিসেবে ফ্র্যাপার্ট ম্যাচ পরিচালনা করেন। একই বছর ঘরের মাঠে নারী বিশ্বকাপের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। ২০১৯ সালে লিভারপুল বনাম চেলসির মধ্যকার উয়েফা সুপার কাপের ফাইনাল ম্যাচটিতে রেফারি হিসেবে ছিলেন ফ্র্যাপার্ট। ২০২০ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও গত মৌসুমে ফরাসি কাপের ফাইনাল ম্যাচ পরিচালনা করেন ফ্রান্সের এই রেফারি। এসব অভিজ্ঞতাই তাকে কাতারে বিশ্বকাপ ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ করে দিয়েছে।


বিশ্বকাপের মঞ্চে সুযোগ পাওয়া নিয়ে ফ্র্যাপার্ট বলেন, ‘আমি সত্যিকার অর্থেই বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে কাজ করতে মুখিয়ে আছি। বিশ্বকাপের থেকে বড় কিছু হতে পারেনা।’


ফ্র্যাপার্টের থেকে বয়সে দুই বছরের ছোট ইয়ামাশিতা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ অনেক বড় একটা দায়িত্ব। কিন্তু দায়িত্ব পেয়ে আমি দারুন খুশী। এই ধরনের সুযোগ কখনো সামনে আসবে তা কল্পনাতেও ছিলো না।’


৩৪ বছর বয়সী মুকানসানগা চলতি বছর জানুয়ারিতে আফ্রিকান ন্যাশনস কাপে প্রথম নারী রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালনে সফলতা দেখানোর পরই বিশ্বকাপে কাজ করার সুযোগ পেলেন।