দেবীদ্বারে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
শফিউল আলম রাজীব, উপজেলা প্রতিনিধি - দেবীদ্বার, কুমিল্লা
প্রকাশিত: শনিবার ২৮শে মে ২০২২ ০৬:০৯ অপরাহ্ন
দেবীদ্বারে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালিত

"মা ও শিশুর জীবন বাঁচাতে, স্বাস্থ্য কেন্দ্রে হবে যেতে" এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’র আয়োজনে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালিত হয়েছে।


শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে আয়োজিত নিরাপদ মাতৃত্ব দিবসের আলোচনা সভায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এনামুল হক’র সভাপতিত্বে এবং ডাঃ সাদাত ইরতিশাম’র সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট নাজমা বেগম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মঞ্জুর হোসেন।


প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গাইনি কনসালটেন্ট ডাঃ তামান্না সোলায়মান, অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন গাইনি চিকিৎসক ডাঃ ফারহানা ইসলাম, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠ কর্মী মোঃ মহিউদ্দিন বাহারুল, প্রসুতী খুশী বেগম প্রমূখ।


আলোচকরা বলেন, আমরা এখনো প্রসূতী মায়েদের প্রতি করনীয় সম্পর্কে অসচেতন রয়েছি। এখনো আমরা বাচ্চা এবং প্রসূতীকে সুস্থ্য রাখতে তাবিজ, টোনা, ঝারফুঁক, পানিপড়াসহ সেকেলী সংস্কৃতি কুসংস্কার মুক্ত হতে পারিনি। পেটে বাচ্চা বড় হলে প্রসব যন্ত্রণা বেড়ে যাওয়ার আশংকায় পুষ্টিকর ও আয়রন জাতীয় খাবার থেকে বিরত রাখি। স্বামী, শ^শুর-শ্বাশুরী, ননদ-জা’য়েরা এখনো চিকিৎসকের নিকট প্রশ্ন রাখেন,- বাচ্চা ছেলে নাকি মেয়ে, কখনো জানতে চাননা প্রসূতী এবং বাচ্চা সুস্থ্য আছে কিনা, তাদের সুস্থ্যতার জন্য কি করা উচিত।


আমাদের আগামী প্রজন্মকে সুস্থ্য ও কর্মঠ জনবল হিসেবে তৈরী করতে মা’ শ^াশুরীসহ সংশ্লিষ্টদের মাতৃকালীন সময়ে প্রসূতীদের প্রতি করনীয় সম্পর্কে সচেতন করে তোলার বিকল্প নেই। তাই মাসিক বন্ধের ৩ মাস থেকে প্রশবকালীন সময় এবং বাচ্চা প্রসবের ৪২ দিন পর্যন্ত নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চলতে হবে। মায়েদের এসময়ে পুষ্টিকর খাবার প্রদান করতে হবে এবং ভারী কাজকর্ম থেকে বিরত রাখতে হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠকর্মীদের প্রসূতীদের তালিকা করে নিয়মিত চিকিৎিসকের পরামর্শ্বে রাখতে হবে এবং তাদের প্রতি করনীয় সম্পর্কে প্রসূতী ও তাদের স্বজনদের নিয়ে সভা-সেমিনারে সচেতন করে তুলতে হবে। 


মাতৃত্বকালীন শিশু ও শিশুর মা’য়েদের মৃত্যুর হার কমাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে প্রসব করাতে হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠ কর্মীদের এ দায়িত্ব পালনে শতভাগ নিশ্চিত করতে কাজ করতে হবে।


উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এনামুল হক বলেন, আমরা প্রসুতীদের জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৪ ঘন্টা সেবাদানের ব্যবস্থা রেখেছি। চিকিৎসক, ঔষধ, পরীক্ষা নীরিক্ষার সমস্ত আয়োজন উপজেলা সরকারী হাসপাতাল গুলোতে রয়েছে। মাঠ কর্মীরাই এসব সুযোগ সুবিধার কথা প্রসূতীদের জানাতে হবে।