চাঁদপুরে কৃষকদের মুখে হাসি, অন্যদিকে শংকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার ২৩শে এপ্রিল ২০২১ ০২:০৫ অপরাহ্ন
চাঁদপুরে কৃষকদের মুখে হাসি, অন্যদিকে শংকা

গতবছরের খরা কাটিয়ে এ বছর চাঁদপুরের কৃষকদের মুখে হাসি ফুটতে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে ভালো আবহাওয়া থাকায় আবাদি জমি গুলোতে আগের তুলনায় চরতি বছরে ধানের ভালো ফলন হয়েছে। এবছর চাঁদপুরে ৬১ হাজার ২শত ৮৫ হেক্টর জমিতে ৩লক্ষ ১৪ হাজার ৬শত মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চাঁদপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তর।


জানা যায়, গতবছর চাঁদপুরে অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে ধান উৎপাদনে চাহিদা অনুযায়ী লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এ বছর তার বিপরীত। বেরিবাঁধ এলাকা থেকে শুরু করে চাঁদপুর জেলার সকল কৃষি অঞ্চলগুলোতেই ধানের ভালো ফলন হয়েছে। ইতিমধ্যে আবাদি জমির ৮ শতাংশ ধান কর্তন করা হয়েছে।

তবে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে চাষকৃত জমির সকল ফসল কর্তন করা হয়ে যাবে। 


চাষকৃত জমি গুলোতে ধান উৎপাদনে দেখা যায় উচ্চ ফলন জাতের ধান ৫২ হাজার ১শত ১০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়। হাইব্রিড জাতের ধান ৯ হাজার ১শত ৩৫ হেক্টর জমিতে ও স্থানীয় জাতের ধান ৪০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়।


মোঃ আল-আমিন গাজী নামের একজন কৃষকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গতবারের তুলনায় এবার আমাদের ধান ভালো হয়েছে। আমরা আমাদের ফসল কেটে ফেলেছি। আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো হয়েছে।


এ বিষয়ে চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নরেশ চন্দ্র দাস জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর চাঁদপুরে ধানের ভালো ফলন হয়েছে। কারণ আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। 


তবে চলতি মাসের শেষ দিকে থেকে বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ধান অন্তত ৮০ শতাংশ পেকে গেলেও কৃষককে আমরা সেগুলো কেটে ফেলতে বলেছি। যাতে যে কোন ধরনের ঝড়-তুফান অথবা বন্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।