কিউইদের হারিয়ে ইতিহাস গড়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার ৮ই সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:২৫ অপরাহ্ন
কিউইদের হারিয়ে ইতিহাস গড়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ের আভাস দিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে হেরে যায় স্বাগতিকরা। বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চতুর্থ ম্যাচে ৬ উইকেটে জিতে ইতিহাস গড়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে টাইগাররা।


ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দল বেশ শক্ত অবস্থান তৈরি করলেও সীমিত ওভারের আরেক ফরম্যাট টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের জায়গা নড়বড়ে ছিল বেশ। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ভাবনা বাড়ছিল টাইগারদের। তবে সম্প্রতি এই ফরম্যাটেও অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেছে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। নিজেদের খেলা সবশেষ তিন টি-টোয়েন্টি সিরিজের সবগুলোতেই জিতেছে টাইগাররা।


বুধবার (০৮ সেপ্টেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দুদল। যেখানে প্রথমে ব্যাট করে ১৯.৩ ওভারে ৯৩ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ও ...


৯৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করে নামা বাংলাদেশের হয়ে এদিনও ব্যর্থ হন ওপেনার লিটন দাশ। দলীয় তৃতীয় ওভারে ব্যক্তিগত ৬ রানে কোল ম্যাককোঞ্চির বলে বিদায় নেন তিনি। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ২৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন আরেক ওপেনার নাঈম শেখ।


কিন্তু মারমুখী খেলতে যাওয়া সাকিব ষষ্ঠ ওভারে আজাজ প্যাটেলের শিকার হন। ব্যক্তিগত ৮ রানে তিনি উইকেটরক্ষক টম ল্যাথামের কাছে স্টাম্পিং হন। একই ওভারের শেষ বলে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমেরও বিদায় হয়। বোল্ড হয়ে শূন্য রানে ফেরেন তিনি।


চতুর্থ উইকেট জুটিতে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ৫০ বলে ৩৪ রান করেন নাঈম। এই জুটি দলকে জেতানোর লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে রান আউটে কাঁটা পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় নাঈমকে। ১৫তম ওভারে দলীয় ৬৭ রানে দুই রান নিতে গিয়ে আউট হন নাঈম। ৩৫ বলে ১টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৯ রান করেন এই বাঁহাতি।


টস জিতে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। নাসুম আহমেদের বল তুলে মারতে গিয়ে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ক্যাচে পরিণত হন রচিন রবীন্দ্র। দলীয় তৃতীয় ওভারে আরেক ওপেনার ফিন অ্যালেনকেও সাইফের ক্যাচে ফেরান নাসুম। ব্যাক্তিগত ১২ রানে মাঠ ছাড়েন তিনি।


তৃতীয় উইকেট জুটিতে উইল ইয়ংকে নিয়ে ৩৫ রান করে বিপদ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক টম ল্যাথাম। তবে মেহেদী হাসানের ঘূর্ণিতে ইনিংস বড় করা হয়নি ল্যাথামের। উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান স্টাম্পিং করে বিদায় করেন ২১ রান করা এই ব্যাটসম্যানকে।


কিউইদের ইনিংসে এরপর ঘূর্ণির জাদু দেখান নাসুম। ১২তম ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে হেনরি নিকোলস ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান এই বাঁহাতি।


সফরকারীদের ব্যাটিংয়ে একাই লড়ে যান উইল ইয়ং। তবে মোস্তাফিজুর রহমানের কাটারের সামনে বাকিরা আর কেউ দাঁড়াতেই পারেননি। তার শিকারে মাঠ ছাড়েন টম ব্লান্ডেল, কোল ম্যাককোঞ্চি, ব্লাইর থিকনার ও ইয়ং। ম্যাককোঞ্চিকে তো নিজেরই করা বলের ফিরতি শটে দারুণ এক ক্যাচে ফেরান। কিউই ইনিংসে ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ ৪৬ রান করা ইয়ংও তার বলে মাহমুদউল্লাহকে ক্যাচ দেন। মাঝে আজাজ প্যাটেলকে ফিরিয়ে উইকেটে ভাগ বসান সাইফ।


বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে নাসুম ও মোস্তাফিজ ৪টি করে উইকেট দখল করেন। একটি করে উইকেট পান মেহেদী ও সাইফ।