বিদায়ী অর্থবছরে মোংলা বন্দরে ৯৭০ টি বাণিজ্যিক জাহাজ আগমনের রেকর্ড গড়লেও কন্টেইনার খালাস বোঝাই তুলনামূলকভাবে কমে গেছে এ বন্দরে।
২০১৯ -২০ অর্থবছরে এ বন্দরে ৫৯ হাজার ৪৭৬ টিইউজ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হলেও ২০২০- ২১ অর্থবছরে তা কমে ৪৩ হাজার ৯৫৯ টিইউজে দাঁড়িয়েছে। এক বছরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কমেছে ১৫ হাজার ৫১৭ টিইউজ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, করোনার প্রভাবে বিশ্ববাণিজ্যে স্থবিরতা চলছে। সমুদ্র অর্থনীতিতেও পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব। করোনার কারনে গত অর্থবছরে দেশীয় আমদানিকারকরা পণ্য আমদানি করেছে তুলনামূলক কম। সেকারনেই মোংলা বন্দরসহ অন্যান্য সমুদ্রবন্দর গুলোতে কন্টেইনারবাহী জাহাজ কমেছে।
বন্দরের হারবার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মোংলা বন্দরে কন্টেইনার বহনকারী যে জাহাজগুলো আসে সেগুলো ছোট আকারের ৷ নাব্যতা না থাকায় এখানে বড় জাহাজ আসতে পারেনা। আমদানিকারকরা বেশি খরচ দিয়ে ছোট জাহাজে পণ্য পরিবহন করতে চায়না।
বন্দর চ্যানেলের ইনারবারে যে ড্রেজিং চলছে সেকাজ সমাপ্ত হলে ১০-১২ মিটার ড্রাফটের জাহাজ অনায়াসেই বন্দরে ভিড়তে পারবে। তখন বন্দরে কন্টেইনারের জাহাজ কয়েকগুন বাড়বে।
সূত্রটি আরো জানায়, পদ্মা সেতু চালু বন্দরে কন্টেইনার খালাস- বোঝাই সহ অন্যান্য অপারেশনাল কার্যক্রম বহুগুনে বৃদ্ধি পাবে। ইতিমধ্যে ১৭০ কোটি টাকায় দুই ধাপে ৫ টি মাল্টিপারপাস মোবাইল ক্রেন কেনা হয়েছে। যা কয়েকদিন আগেই বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালে জার্মান থেকে ৪৪ কোটি টাকায় সর্বপ্রথম মোবাইল ক্রেন কেনা হয়েছিল। যেটি দুই বছর সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে।বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মোস্তফা কামাল জানান, করোনার প্রভাবে হয়ত বন্দরে কন্টেইনার জাহাজ কমে গেছে কিন্তু রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি, কার্গো হ্যান্ডলিং, এলপিজি আমদানিতে বিদায়ী অর্থবছরে রেকর্ড গড়েছে মোংলা বন্দর।
বন্দরের বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ১২ তারিখ পর্যন্ত বন্দরে মোট ৩০ টি জাহাজ ভিড়েছে। তারমধ্যে কন্টেইনারবাহী জাহাজ ২ টি।
এছাড়াও বন্দরে এলপিজি,ক্লিংকার, সার, মেশিনারিজের জাহাজ আগের তুলনায় বেড়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।