বিনামূল্যে করোনার টিকা দেওয়ার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে বিনামূল্যে ১০০ কোটি টিকা দিয়ে নজির তৈরি করে ফেলেছে ভারত। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে একথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এসময় তিনি স্বাস্থ্য-সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এর আগে আমাদের বাইরে থেকে টিকা আমদানি করতে হতো। এখন আমরা গোটা বিশ্বকে টিকা সরবরাহ করছি।
নরেন্দ্র মোদী বলেন, সবচেয়ে বড় কথা, ভারতের টিকাকরণ অভিযান সম্পূর্ণ বিজ্ঞানসম্মত। উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল তা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া। মানুষের কাছে টিকা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে আমরা দৃষ্টান্তমূলক কাজ করেছি।
১০ মাসের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী প্রায় ৭৫ শতাংশকে প্রথম ডোজ এবং ৩০ শতাংশকে দুই ডোজ করে টিকা দিয়েছে ভারত। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে ভারত সরকারের কোউইন ওয়েবসাইটে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।জানা যায়, চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি করোনারোধী টিকাদান অভিযান শুরু করেছিল ভারত। যদিও টিকাদান সংক্রান্ত ন্যাশনাল টাস্কফোর্স ফর ফোকাসড রিসার্চ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এর প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে।
ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার (ডিসিজিআই) অনুমোদনে এই কর্মসূচিতে তিনটি টিকা ব্যবহৃত হয়েছে। সেগুলো হলো ব্রিটিশ-সুইডিশ ফার্ম অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রযুক্তিতে সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার উৎপাদিত কোভিশিল্ড, ভারত বায়োটেকের আবিষ্কৃত কোভ্যাক্সিন এবং রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি টিকা। তবে সেখানে স্পুটনিক-ভি ব্যবহার করা হয়েছে খুবই সামান্য, মাত্র চার লাখের মতো। ব্যবহৃত ১০০ কোটির বাকি ডোজের প্রায় সবই উৎপাদন হয়েছে ভারতে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।