ভাইরাস বানাতে চীনকে টাকা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র!
বিশ্বজুড়ে বেড়েই চলেছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এ পর্যন্ত ১ লাখ ৮ হাজার ৯৬২ জন করোনায় প্রাণ হারিয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ১৭ লাখ ৮৪ হাজার ৩৩৫ জনে। এদিকে লাখো মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়া করোনা নিয়ে গবেষণা করতে চীনের উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিকে যুক্তরাষ্ট্র ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার দিয়েছিল বলে তথ্য ফাঁস হয়েছে।
রোববার (১২ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ হাতে পাওয়ার দাবি করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল। এর সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের একাধিক সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উহান ইনস্টিটিউট প্রায় এক হাজার মাইল দূরবর্তী ইউনান প্রদেশ থেকে ধরে আনা স্তন্যপায়ী প্রাণীদের নিয়ে করোনার পরীক্ষা করছিল। ইতোমধ্যেই ইউনানের একটি গুহায় বসবাসকারী বাদুড়ের শরীরে নভেল ভাইরাসের জিন পাওয়া গেছে। তবে মানব শরীরে এর সংক্রমণের শুরু উহানের একটি প্রাণীবাজার থেকে হয়েছে বলে জানা গেছে। সেজন্য উহান ইনস্টিটিউট থেকেই এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি চীনে ভাইরাস নিয়ে গবেষণাকারী সবচেয়ে উন্নত গবেষণাগার। করোনা সংক্রমণের উৎস প্রাণীবাজারটি থেকে এর অবস্থান মাত্র ২০ মাইল দূরে।
ডেইলি মেইলের তথ্য অনুসারে, উহানের গবেষকরা বাদুড়ের শরীর থেকে পাওয়া ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছিলেন। আর এ কাজে ৩৭ লাখ ডলার অর্থায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ (এনআইএইচ)। এই প্রতিষ্ঠানটিও বায়োমেডিকেল ও জনস্বাস্থ্য নিয়ে গবেষণা করে থাকে। তবে এর সঙ্গে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের এনআইএইচ নয়, আরও যুক্ত ছিল ইউনিভার্সিটি অব আলাবামা, দ্য ইউনিভার্সিটি অব নর্থ টেক্সাস, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি এবং ন্যাশনাল ওয়াইল্ডলাইফ ফেডারেশন।
তারা গবেষণাগারে করোনাভাইরাস তৈরি করে তা তিনদিন বয়সী একটি শূকরছানার শরীরে প্রবেশ করিয়েছিল বলে জানা গেছে। এছাড়া অপ্রমাণিত একটি সূত্রের তথ্যমতে ডেইলি মেইলের দাবি, উহান ইনস্টিটিউটের কোনও গবেষকের শরীরে হয়তো করোনাভাইরাসযুক্ত রক্ত ছিটে লেগেছিল। পরে তার মাধ্যমেই স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।