খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কৃষক প্রণোদনা নিয়ে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি করলে দেশে খাদ্য ঘাটতি থাকবে না এবং বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হবে না। আর চাল আমদানি না হলে কৃষকের ধানের নায্যমূল্য নিশ্চিত হবে।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর নিয়ামতপুর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে উফশী আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান মন্ত্রী।
এসময় মন্ত্রী বলেন, প্রকৃত কৃষক না কিংবা চাষের জমি নাই এমন কেউ যেন প্রণোদনার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত না হন তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রকৃত কৃষকের হাতে প্রণোদনা পৌঁছে দিতে ও প্রণোদনা নিয়ে তা উৎপাদন বৃদ্ধির কাজে লাগাতে সংশ্লিষ্ট ও কৃষকদের প্রতিও আহবান জানান মন্ত্রী।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বর্তমান সরকার কৃষকের দোরগোড়ায় সার, বীজ ও বিদ্যুৎ সেবা পৌঁছে দিচ্ছে। দেশে সার, বীজ ও বিদ্যুতের অভাব নেই। সেচের অভাবে জমি অনাবাদী থাকছে না। অথচ বিএনপির আমলে সার চাওয়ায় কৃষককে গুলি করে মারা হয়েছে। বিদ্যুতের অভাবে কৃষক জমিতে সেচ দিতে পারে নি।
মন্ত্রী আরো বলেন, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে এ নীতির ভিত্তিতেই সরকার সব সময় কৃষকের পাশে আছে এবং আগামীতেও থাকবে। কৃষকদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। কৃষকদের নিমূল হাসিতে বাংলাদেশ হাসে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মঞ্জুরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাদিরা বেগম ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমির আব্দুল্লাহ মো: ওয়াহিদুজ্জামানসহ প্রমুখ।
পরে খাদ্যমন্ত্রী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে দুই হাজার কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করেন। এছাড়াও মন্ত্রী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ৮০ জনশিক্ষার্থীর মাঝে বাইসাইকেল ও ৬০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।