নিবিড় পর্যবেক্ষণ করেই নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছে: সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৩ই অক্টোবর ২০২২ ০৮:০৫ অপরাহ্ন
নিবিড় পর্যবেক্ষণ করেই নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছে: সিইসি

নির্বাচন কমিশন চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নিবিড় পর্যবেক্ষণ করেই নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে বেলা আড়াইটার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।


সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশন চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নিবিড় পর্যবেক্ষণ করেই নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছে। ওবায়দুল কাদের যদি ইসির সাথে বসে নির্বাচন দেখতেন, তিনিও বুঝতেন।


সিইসি বলেন, আমরা স্বচক্ষে দেখেছি এজেন্টরা নিজেরাই ভোট দিয়ে দিচ্ছেন। কোনো শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ তারা করেনি। বেলা ১টা ৩০ পর্যন্ত আমরা সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করি। প্রত্যেক কেন্দ্রে একই অবস্থা ছিল। এমন অবস্থায় একজন রিটার্নিং অফিসার ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন। এরপর আমরা সিদ্ধান্ত নেই।


তিনি আরও বলেন, অন্যান্য কেন্দ্রে সিসিটিভি দেখার সুযোগ পেলে হয়তো একই দৃশ্য উঠে আসতো। আমরা ৫০টি কেন্দ্রের ব্যাপারে স্বচক্ষে দেখেছি। ৩০ মিনিট সময়ের মধ্যে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।


সিইসি বলেন, কমিশন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিল। নির্বাচন অব্শ্যই অবাধ ও নিরপেক্ষ হতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও সর্বোপরি নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বই এটা। নির্বাচন কমিশন এক পুরোপুরি দায়িত্ব নিতে পারের না। নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা জরুরি এবং রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা ও ঐক্যমত্য ছাড়া অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব না।


কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, গাইবান্ধা-৫ আসন উপ-নির্বাচন একক সিদ্ধান্তে বন্ধ হয়নি, সকল নির্বাচন কমিশনারদের সাথে আলোচনা করে ভোট স্থগিত করা হয়। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভোট কবে হবে তা তদন্ত প্রতিবেদন দেখার পর জানানো হবে।


বুধবার (১২ অক্টোবর) বুধবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট পর্যবেক্ষণের মনিটরিং সেলে বসে উপনির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে দুপুর সোয়া ২টার দিকে ভোটকেন্দ্রে নানা অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়।


গত ২৩ জুলাই জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া আমেরিকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়। এই আসনে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। তারা হলেন—আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মাহমুদ হাসান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবার রহমান।


এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মাহমুদ হাসান ছাড়া বাকিরা ভোটে অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগে দুপুর ১২টার দিকে ভোট বর্জন করেন। সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন।