উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড বালুখালী গ্রামের মো:হানিফ নামের এক নিরীহ যুবক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ইয়াবা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় গ্রাম পুলিশের(চৌকিদার) নুরুল আমিন জুনুর বিরুদ্ধে।ভুক্তভোগী মো: হানিফ অভিযোগ তুলে বলেন গত ২৮ এপ্রিল কক্সবাজারের কয়েকটি প্রিন্ট ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারি গত শুক্রবার গভীর রাতে বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঢুকার পথে পরিত্যক্ত অবস্থায় সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করেছে উখিয়া থানা পুলিশ।৩/৪ জন ইয়াবার চালান বহনকারী পালিয়ে যায়।
এতে স্থানীয় চৌকিদার নুরুল আমিন জুনু আমাকে চিনেছে বলে সংবাদে প্রকাশ হয়।চৌকিদার জুনুর সাথে পারিবারিক বিষয়ে আমার পূর্ব থেকে বিরোধ রয়েছে।গত এক সপ্তাহ পূর্বেও জুনুর ইন্দনে আমার উপর হামলা করা হয়। এতে আমাকে রক্তাক্ত জখম করা হয়।আমি এখনো গুরুতর অসুস্থ্য।সুস্থ্য হতে আরো মাসাধিককাল সময় পার করতে হবে।ওই বিরোধ কে কেন্দ্র করে সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমুলক ও শত্রুতামীবশত আমাকে মিথ্যা অপবাদে ইয়াবা আটকের মামলায় পলাতক আসামী করা হয়েছে।আমার প্রশ্ন চৌকিদার জুনু সব ভাইরা ইয়াবা ব্যবসা ও পাচারে জড়িত।তার এক ভাই ইয়াবা নিয়ে আটক হয়ে জেলে রয়েছে।মনছুর,শামসু,আবসার,দিদার গোরা মিয়া,মো:কালু, এরা চৌকিদার জুনুর ভাই।তাঁরা জুনুর ছত্রছায়ায় থেকে ইয়াবা পাচারে জড়িত।জুনু ভাড়াটিয়ারাও ইয়াবা সম্পৃক্ত।পুলিশের নাম ভাংগিয়ে নিরীহ মানুষদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আয় করে থাকে।
অন্যদিকে ভাইদের মাধ্যমে ইয়াবা কারবার করছে।উল্টো নিরীহ লোকদের ফাঁসিয়ে দিচ্ছে আর হয়রানী করে যাচ্ছে।আমি গরীবের ছেলে,আমার বাবা কৃষক।এতবড় ইয়াবার চালান নিয়ে আমার জড়িত থাকা ও পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা সম্পূর্ণ হাস্যকর বিষয়।আমি কোনদিন ইয়াবা কিংবা খারাপ কাজের সাথে জড়িত ছিলাম না এবং নাই।আমাকে চৌকিদার জুনু ফাঁসিয়ে দিয়েছে।আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এলাকাবাসীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ঘটনার সুষ্টু ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবী করছি এবং কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।