উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গার কারণে বিষিয়ে উঠেছে পরিবেশ!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শনিবার ৬ই জুলাই ২০১৯ ০৪:৩০ অপরাহ্ন
উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গার কারণে বিষিয়ে উঠেছে পরিবেশ!

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের চারপাশে আলো বাতাস মাটি পানি পাহাড় পর্বত নদী নালা সাগর উদ্ভিদ প্রাণিজগতের সমন্বয়ে সৃষ্টি ব্যবস্হাপনাই  হলো পরিবেশ।কিন্তুু সেই আগের পরিবেশ এখন মৃত।কারণ যেখানে দু লাখ মানুষের বসবাস, তার অনুপাতে তুলনা মূলক হলেও উখিয়া-টেকনাফে বনায়ন ছিল।যে পরিবেশের জন্য বেশি বনায়ন প্রয়োজন ছিল তা আগত রোহিঙ্গারা কেটে ধুধু মরোভূমিতে পরিনত করেছে।এখন শুধু রোহিঙ্গা জনসংখ্যা বৃদ্বি ও বনজ সম্পত ধ্বংস করার কারণে উখিয়া-টেকনাফের পরিবেশ দিনদিন দূষিত হচ্ছে।উখিয়ার পালংখালী ইউপির চেয়ারম্যান এম.গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, উখিয়া-টেকনাফের স্হানীয় পাঁচ লাখ জনগোষ্টি আর রোহিঙ্গা এগার লাখ, নিয়মের দ্ধিগুণের বেশী জনসংখ্যা বৃদ্বি পাওয়ায় পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হয়েছে।

অপরিকল্পিত ভাবে জন সংখ্যা বৃদ্বি পাওয়ায় পানি মাটি ও বাতাসের মতো প্রাকৃতিক সম্পদের উপর ব্যাপক চাপ পড়েছে,এসব রোহিঙ্গাদের কারণে।পরিবেশবীদগণ বলছেন কোন দেশের প্রয়োজনিয় বনভূমির পরিমাণ সে দেশের মোট ভূমির ২৫%হতে হবে।যেখানে পুরো দেশে প্রয়োজনের তুলনায় কম বনভূমি রয়েছে সেখানে উখিয়া- টেকনাফ তো ভাবাই যায় না।তাই রোহিঙ্গারা আমাদের বনভূমি ধ্বংস করে বাড়ি ঘর নির্মাণ করে উখিয়া-টেকনাফ মানুষের জন্য আত্নঘাতি কাজ করেছে।আগামীর জন্য তা যেমন বিপজ্জনক তেমনি হতাশাজনকও বটে।জীবনের অস্তিত্বের জন্য যে অক্সিজেন প্রয়োজন পরিবেশ যদি তার ঘাটতি দেখাদেয়, তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই পরিবেশ হয়ে উঠবে শ্বাসপ্রশ্বাস গ্রহনের অনুপযোগী।

এ ছাড়া বায়ুতে বেড়ে যাবে কার্বনডাই অক্সাইডের পরিমাণ।ধীরে ধীরে বায়ুমন্ডলে এর পরিমাণ হয়ে উঠবে ভারসাম্যহীন।সুতরাং দেশের মানুষ রোহিঙ্গাদের দ্বারা বেশি ক্ষতি না হতে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো বা যে সমস্ত রাষ্ট্র, সংস্হা বেশিবেশি ডলার ভাঙিয়ে তাদের সাহায্য দিচ্ছে এক লাখ করে তাদের দেশে নিয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মাধ্যমে শরণার্থী হিসেবে রাখা হোক এটাই উখিয়া-টেকনাফের ভুক্তভোগী জনগণের দাবি।

ইনিউজ ৭১/এম.আর