পিরোজপুরে একটি হত্যা মামলার গ্রেফতারকৃত সন্দেহভাজন আসামী থানা থেকে পালিয়ে যাওয়ার ৮ ঘন্টা পরে পুলিশ ফের তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে পিরোজপুর সদর থানা থেকে আসামী সালমান খান (২৪) পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় পুলিশ ব্যাপক অভিযান চালিয়ে দুপুর ৩টার দিকে তাকে সদর উপজেলার চলিশা চাঁন মাঝির ব্রীজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। সালমান উপজেলার কলাখালী গ্রামের দুলাল খানের ছেলে। কলাখালীর যুবলীগ কর্মীর জয় হত্যা মামলা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে মাদক ও নারী নির্যাতনসহ চারটি নিয়মিত মামলা রয়েছে। থানা সুত্রে জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার সময় থানা হাজতে থাকা সালমান পানি পান করতে চাইলে দায়িত্বরত সেন্ট্রি হাজতখানার দরজা খুলে দেন।
সুযোগসন্ধানী সালমান গেইট খুলতে না খুলতেই কিছু বুঝে উঠার আগেই সেন্ট্রিকে ধাক্কা দিয়ে মেঝতে ফেলে দিয়ে থানা থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এসময় সেন্ট্রির মাথায় প্রচন্ড আঘাত পান। পুলিশ সদস্যরা সালমানকে ধাওয়া করলে সে থানার উত্তর দিকে দামুদর খালে ঝাপিয়ে পড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বাদল জানান, ঘটনা সকালে বলে থানায় নির্দিষ্ট দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর উপস্থিতি কম থাকার সুযোগ নিয়ে আসামী পালানোর সুবিধা পেয়েছেছিল।
ঘটনার পর থেকে পিরোজপুর ও সন্নিহিত জেলা সমুহে পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো হয়। পরে দুপুর ৩টার দিকে তাকে চলিশা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও তদন্ত) মোল্লা আজাদ হোসেন জানান, পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ ব্যাপক অভিযান চলিয়ে তাকে ফের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। তবে থানা থেকে আসামী পলায়নের ঘটনায় পুলিশের কারও অবহেলা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।