চলতি মাসের শুরুর দিকে গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট রেনিটিডিন ট্যাবলেট সেবনের ব্যাপারে সতর্কতা জারি করে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড ও ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। রেনিটিডিন ট্যাবলেটে ক্যান্সারের উপাদান রয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তদন্তও শুরু হয়েছে। এদিকে রেনিটিডিন ট্যাবলেটে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানের উপস্থিতির বিষয়ে তদন্ত শুরুর পর বিশ্ববাজার থেকে ওষুধটি তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারী ব্রিটিশ সংস্থা গ্ল্যাক্সো স্মিথ ক্লাইন (জিএসকে)। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের বাজার থেকে ট্যাবলেটটি তুলে নেয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের বাজারেও রেনিটিডিন ওষুধের কাঁচামাল আমদানি, উৎপাদন ও বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। ২৯ সেপ্টেম্বর, রবিবার রাজধানীর মহাখালীতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সভাকক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান জানান, দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার কথা বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ শিল্প সমিতির নেতাদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা শেষে রেনিটিডিন ওষুধের কাঁচামাল আমদানি উৎপাদন ও বিক্রির ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
তিনি জানান, বর্তমানে বাংলাদেশের ৩১টি ওষুধ কোম্পানি প্রতিবেশী দেশ ভারতের ফারাক্কা নামক একটি কোম্পানি থেকে রেনিটিডিন ট্যাবলেটের কাঁচামাল আমদানি করে। এছাড়া ডক্টর রেড্ডি নামক আরেকটি কোম্পানির কাঁচামাল আমদানির জন্য ব্ল্যাকলিস্টে তালিকাভুক্ত থাকলেও সেখান থেকে এখনো আমদানি করা হয়নি। জনস্বার্থ বিবেচনায় এ দুটি কোম্পানি থেকে রেনিটিডিনের কাঁচামাল আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়। এছাড়া ওই কোম্পানি থেকে আমদানিকৃত কাঁচামাল দিয়ে নতুন করে কোনো রেনিটিডিন উৎপাদন করা যাবে না। শুধু তাই নয়, বাজার থেকে কোম্পানিগুলো স্ব-উদ্যোগে রেনিটিডিন ট্যাবলেট প্রত্যাহার করে নেবে। এ ব্যাপারে জাতীয় দৈনিকে আগামীকাল গণবিজ্ঞপ্তি জারি হবে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।