পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে ২৩-২৪ নম্বর পিলারে স্থায়ীভাবে বসলো পদ্মা সেতুর ১৫তম স্প্যান। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে স্প্যানটি (সুপার স্ট্রাকচার) বসানো হয় বলে নিশ্চিত করেন পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী (মূল সেতু) হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, ‘১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ১৫তম স্প্যান (৪-ই) বসানোর পর সেতুর মোট দুই হাজার ২৫০ মিটার দৃশ্যমান হলো।’ এর আগে গত ১৪ অক্টোবর সোমবার স্প্যানটি জাজিরার চর থেকে ২৩-২৪ নম্বর পিয়ারের কাছে নেওয়া হয়। গত বুধ বা বৃহস্পতিবার স্প্যানটি (সুপার স্ট্রাকচার) বসানোর শিডিউল ছিল বলে পদ্মা সেতু প্রকল্পের একাধিক প্রকৌশলী জানিয়েছিলেন।
৪-ই স্প্যানটি বসানোর পর সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ১৫টি স্প্যান বসানো হলো। তবে, এরমধ্যে মাওয়া প্রান্তে একটি স্প্যান অস্থায়ীভাবে বসানো আছে। জাজিরা প্রান্তে ১১টি স্প্যানের মোট ১ হাজার ৬৫০ মিটার ও মাওয়া প্রান্তের তিনটি স্থায়ী ও একটি অস্থায়ী স্প্যান মোট ৬০০ মিটার মিলিয়ে সেতুর মোট ২ হাজার ২৫০ মিটার দৃশ্যমান হলো। প্রায় চার মাস পর পদ্মা সেতুর ১৫তম স্প্যান বসানো হলো। এর আগে ১৪তম স্প্যান বসানো হয়েছিল গত ২৯ জুন।
এ ব্যাপারে প্রকৌশলীরা জানান, বর্ষাকালে পদ্মা নদীতে প্রচুর পলি আসে। পলি জমে চ্যানেল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। স্প্যান বহনকারী ক্রেনটি নাব্য সংকটের কারণে চলতে পারে না। তাই, স্প্যান বসানোর শিডিউল এভাবে নির্ধারণ করা হয়। তিনি আরও জানান, ৪-ই স্প্যান ছাড়াও কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে আরও ৫টি স্প্যান প্রস্তুত আছে। চারটি স্প্যান কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ও একটি চর এলাকায় ২৮ নম্বর পিয়ারের কাছে রাখা আছে। এখন নিয়মিতভাবে আবার পিলারে স্প্যান বসানোর কাজ করা হবে।
জানা গেছে, সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি ৮৪ শতাংশ এবং সেতুর আর্থিক অগ্রগতি ৭৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭৪ শতাংশ। আরও জানা গেছে, রেলওয়ে স্ল্যাবের জন্য ২ হাজার ৯৫৯টি প্রি-কাস্ট স্ল্যাব প্রয়োজন হবে। এরমধ্যে ২ হাজার ৮৯১টি স্ল্যাব তৈরির কাজ শেষ হয়েছে এবং বাকি স্ল্যাব আগামী নভেম্বরে তৈরি শেষ হবে। রেলওয়ে স্ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে ৩৬১টি। অন্যদিকে, ২ হাজার ৯১৭টি প্রি-কাস্ট রোডওয়ে ডেক স্ল্যাবের মধ্যে ১ হাজার ৫৫৩টির কাজ শেষ হয়েছে এবং ৫৪টি স্থাপন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, নদী শাসনের বাস্তব কাজের ৬৩ শতাংশ শেষ হয়েছে। নদী শাসন কাজের আর্থিক অগ্রগতি ৫০ দশমিক ৪০ শতাংশ। মোট ১৪ কিলোমিটারের মধ্যে ৬ দশমিক ৬০ কিলোমিটার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নদী শাসন কাজের চুক্তিমূল্য ৮ হাজার ৭০৭ দশমিক ৮১ কোটি টাকা যার মধ্যে ৪ হাজার ৩৮৮ দশমিক ৪৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।