কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ায় প্লাস্টিক কারখানায় লাগা আগুনে দগ্ধ ৩১ জনের মধ্যে মারা গেছেন ১৯ জন। এর মধ্যে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৮ জন। সেখানে এখনও চিকিৎসাধীন ৫ জন। তাদের কেউই শঙ্কামুক্ত না হলেও ফিরোজ নামে একজনের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, তার ভেন্টিলেশন খুলে রাখা হয়েছে। ফিরোজ এখন নিজে নিজে শ্বাস-নিঃশ্বাস নিচ্ছেন। যদিও তিনি শঙ্কামুক্ত নন।
শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ ডিসেম্বর কেরানীগঞ্জের ওই আগুনে মোট ৩১ জন দগ্ধ হন। তাদের সবাইকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। ওই রাতে ও পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ১২ জন। সর্বশেষ ১৫ ডিসেম্বর (রোববার) আরও চারজনের মৃত্যু হয়।
দগ্ধ মুস্তাকিম চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ভোর সাড়ে ৬টায়, আবদুর রাজ্জাক সকাল সাড়ে ৯টায় ও বেলা সাড়ে ১১টায় আবু সাঈদ মারা যান। তারা চারজনই লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। মুস্তাকিমের শরীরের ২০ শতাংশ, রাজ্জাকের শতভাগ ও সাঈদের ৮০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
রোববার বিকেলে মারা যান সুমন হাওলাদার (২০) নামে এক শ্রমিক। বাঁচার আশা নেই জেনে বরিশাল সদর উপজেলার বাসায় নেয়ার পর মারা যান সুমন। বর্তমানে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন পাঁচজন। তারা হলেন, সাজু (১৯), ফিরোজ (৩৯), সোহান (২৫), মফিজ (৪৫) ও সোহাগ (১৯)। এ ছাড়া আরও আটজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন।
শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, মোট ১৩ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে এবং শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে ৫ জনের অবস্থা ক্রিটিক্যাল। এই পাঁচজন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
তিনি বলেন, ফিরোজ নামে অগ্নিদগ্ধ রোগীর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তার ভেন্টিলেশন খুলে রাখা হয়েছে। ফিরোজ এখন নিজে নিজে নিঃশ্বাস নিচ্ছে। যদিও তিনি শঙ্কামুক্ত নন। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, এখানে চিকিৎসাধীন সবারই শ্বাসনালী দগ্ধ হয়েছে। যে কারণে যে কোনো সময় তাদের অবস্থার অবনতি ঘটতে পারে। এখানে নিবিড় পরিচর্যায় তাদের সুস্থতার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।