আম্পানের মূল কেন্দ্র দেশে ঢোকার সম্ভাবনা নেই
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’র কেন্দ্র পশ্চিবঙ্গের সাগরদ্বীপ হয়ে ভারতে ঢুকছে। সুন্দরবন পার হয়ে আরো উত্তর দিকে ঘূর্ণিঝড়টি এগিয়ে যাবে। এতে বাংলাদেশের ভেতরে ‘আম্ফান’র কেন্দ্র ঢোকার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ রাশেদুজ্জামান। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাতক্ষীরা ও খুলনার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাবে।
এর আগে বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে সাগর দ্বীপের পূর্বপাশ দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছিল বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর। এ সময় উপকূলীয় অঞ্চলে ১০ থেকে ১৫ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল।
আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন জানান, ঘূণিঝড় আম্ফান’র প্রভাব সাতক্ষীরা জেলায় বেশি পড়বে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি ধীরে ধীরে শক্তি হারিয়ে দেশে ঢুকবে। সাতক্ষীরার পাশাপাশি খুলনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে ঝড়ো বাতাস বইবে। এদিকে বিকেলে কলকাতার আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়, কলকাতায় ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে।
দীঘা থেকে ৭০ কিলোমিটার পূর্বে ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ২১০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিমে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান’র কেন্দ্রের অবস্থান। এরইমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের কাছের উপকূলীয় পর্যটন কেন্দ্র দীঘা দিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের সম্মুখভাগ স্থলভাগে ঢুকেছে। এর ঠিক কাছেই ঘূর্ণিঝড়ের 'চোখ' রয়েছে। দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে পুরোপুরি উপকূল দিয়ে স্থলভাগে এটি উঠবে বলে জানানো হয়েছে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।