বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলনের কারণে বাজার ভরে আছে চালে। করোনার কারণে আয় কমে যাওয়ায় মানুষ কিনছেও কম। এরপরও চালের দামতো কমেইনি বরং কেজিতে বেড়েছে দুই থেকে পাঁচ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ ঠিকঠাক থাকার পরও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছে মিল মালিকদের সিন্ডিকেট।বোরো মৌসুমের ধান উঠা শেষে প্রতি বছরই কমে চালের দাম। তবে এবার বাজারের চিত্রটা উল্টো।
চালের দাম না কমে বরং বাড়ছে। রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে সপ্তাহের ব্যবধানে চার টাকা বেড়ে মোটা চাল কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৩ টাকায়। পাঁচ টাকা বেড়ে বিআর-২৮ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা। মিনিকেট ও নাজিরশাইল চালও কেজিতে বেড়েছে দুই টাকা করে বলে জানান চাল বিক্রেতারা।তারা বলেন, দেশে চালের কোনও সংকট নেই। পর্যাপ্ত চাল আছে দেশে। মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে।
রাজধানীর বাদামতলীর আড়তদাররাও বলছেন, চালের দাম বাড়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি দায়ী উত্তরাঞ্চলের মিল মালিকদের সিন্ডিকেট। সরকার চাল আমদানি করার জন্য খাদ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছিল। সেই চাল আমদানি করতে সময় বেশি লাগায় তারা পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল মজুদ রেখে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। নওগাঁর মিল মালিকরা বলছেন, কোনো সিন্ডিকেট নয়। ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে চালের দাম।
আজকের বাজারও ধানের সংকটে থাকায় দাম বেশি। ক্রেতারা বলছেন, দাম যে কারণেই বাড়ুক না কেন ভুগতে হচ্ছে আমদেরকেই। পরিবার চালাতে খুব হিমশিম খাচ্ছি। তাই ন্যায্য মূল্যে সাধারণ মানুষের জন্য চাল নিশ্চিত করতে সরকারিভাবে মজুদ বাড়ানোর পরামর্শ দিলেন ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাব এর সভাপতি গোলাম রহমান।তিনি বলেন, সরকারিভাবে চাল মজুদ করে ১০টাকা করে কিংবা অন্যান্য কর্মসূচির মাধ্যমে ভোক্তাদের হাতে পৌঁছে দিতে হবে। তাহলে চালের দাম আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।