১১ বছরের মেয়েকে ৫০,০০০ টাকার বিনিময়ে ৩৫ বছরের বয়সের এক ব্যক্তির কাছে বিয়ের ছলে বিক্রি করে দেয় বাবা। ঘটনটি গত ১২ মে ভারতের ভোপালের বুন্দেলখণ্ডের ছাতারপুরে ঘটেছে। কিন্তু ঘটনাটি সামনে এসেছে ১৫ মে। লাগাতার ৩ দিন ধরে ধর্ষণ করার পর লোকটি বাবার কাছে মেয়েকে ফিরিয়ে দিয়ে যায়। এ ব্যাপারে মেয়ের মা কিছুই জানতেন না বলে জানান।
পুলিশকে শিশুটি জানিয়েছে,১২ মে তার বাবা ৫০,০০০ টাকার বিনিময়ে দেবী ভাস্করের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে দেয়। তাকে কাছের একটি মন্দিরে নিয়ে গিয়ে শাড়ি পরিয়ে গলায় মঙ্গলসূত্র বেঁধে দিয়ে লোকটি বলে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন। এর পরের তিনদিন মেয়েটিকে লাগাতার ধর্ষণ করে দেবী ভাস্কর। মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত শিশুটি কান্না দেখে তাকে তার বাবার কাছে ফিরিয়ে দিয়ে যায় ভাস্কর। বলে, সারাদিন মেয়ে কাঁদছে। তাই তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। স্বামীর সঙ্গে গণ্ডগোল হওয়ায় কাছেই সাগর জেলায় থাকতেন মেয়েটির মা।
তিনি এই খবর পেয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে মেয়েতির মা পুলিশকে জানায়, ‘ওকে যখন দেখি, ও কাঁদছিল। তখনও তার গায়ে বিয়ের শাড়ি ও কপালে সিঁদুর। ওর থেকে তিন গুণ বড় একটা লোকের কাছে আমার মেয়েকে বিক্রি করে দিয়েছিল আমার স্বামী ও ননদ।’ শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগে ভাস্করকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।