বিজয় দিবস: কক্সবাজার সৈকতে ভ্রমণপিপাসুদের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক
সাখাওয়াত জামিল সৈকত (অতিথি লেখক)
প্রকাশিত: বুধবার ১৫ই ডিসেম্বর ২০২১ ১০:২২ অপরাহ্ন
বিজয় দিবস: কক্সবাজার সৈকতে ভ্রমণপিপাসুদের ঢল

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস। সরকারি ছুটির দিন। পরের দুদিন ১৭ এবং ১৮ ডিসেম্বর শুক্র ও শনিবার। সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা তিন দিনের ছুটির ফাঁদে দেশ। তাই এখন সবখানেই বিরাজ করছে ছুটির আমেজ। বিশেষ করে, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত শহর কক্সবাজারে আগেভাগেই দেশের নানাপ্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন পর্যটকরা। বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে সৈকত জুড়ে দেখা যায় লোকারণ্য।


সরজমিনে দেখা যায়, সৈকতের উপকূলে আছড়ে পড়ছে একের পর এক ঢেউ। ঢেউতে উঁকি দিচ্ছে সূর্য। ধীরে ধীরে সাগর পানে ডুবে যাচ্ছে সূর্য, বাড়ছে রক্তিম আভা। এই দৃশ্য সৈকতের বালুচরে দাঁড়িয়ে প্রত্যক্ষ করছে লাখো ভ্রমণপিপাসুরা। বিকেল নামতেই সাগরতীরে উপচে পড়া ভিড়। সবাই মেতেছেন সাগরের জলরাশিতে। সঙ্গে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সূর্যাস্ত।


চট্টগ্রামের হাটহাজারি থেকে আসা নব-দম্পতি রিয়াদ ও জায়রা বলেছেন, টানা ছুটিতে ভিড় অনেক বাড়বে। তাই আগেভাগেই চলে আসলাম। বিকেলে সৈকতে নেমে সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখে খুবই ভাল লাগছে দুইজনের। এমন দৃশ্য সত্যিই অসাধারণ বলে জানান তারা।


লাবণী পয়েন্টে ঘুরে বেড়ানো পুরান ঢাকার বাসিন্দা ইয়াছিন খাতুন জানিয়েছেন, সবসময় ব্যস্ত থাকতে সংসার ও কর্মজীবন নিয়ে। তাই টানা ছুটিতে দুই ছেলে ও স্বামীকে কক্সবাজার ছুটে আসলাম। শীত মৌসুমে কক্সবাজার সৈকতের নৈগর্সিক সৌন্দর্য খুবই ভালো লাগছে। এদিকে আরেক পর্যটক হুমায়ুন কবির বলেছেন, ধীরে ধীরে সূর্য ডুবে যাচ্ছে সাগরে। এই দৃশ্য আগে কোনোদিন দেখিনি। প্রথম এই দৃশ্য অবলোকন করে মনটা আনন্দে ভরে গেল।


এ দিকে পর্যটক বাড়াতে সৈকতে বাড়ানো হয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশও। সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা জোরদার করার কথা জানিয়েছে তারা। কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আগেভাগেই পর্যটক চলে এসেছে কক্সবাজারে। তাই আমাদের অগ্রিম প্রস্তুতিও ছিল। তবে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ছাড় নেই। সবখানেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রয়েছে।


এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেছেন, আগত পর্যটকদের হয়রানি করা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। যেখানেই অভিযোগ পাওয়া যাবে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর ধারণ ক্ষমতা বাইরে পর্যটক চলে আসলে তাদের জন্য অগ্রিম জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে। আশা করি, পর্যটক নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে কক্সবাজার সৈকত ও অন্যান্য পর্যটন স্পটগুলো উপভোগ করতে পারবেন।


মহান বিজয় দিবস ও সাপ্তাহিক মিলে টানা ৩ দিনের ছুটিতে কক্সবাজার ৪ লাখের বেশি পর্যটকের সমাগম হবে বলে জানিয়েছে পর্যটন ব্যবসায়ীরা।