বাংলাদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ‘উগ্রবাদ প্রতিরোধে ছাত্র, গণমাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় কুষ্টিয়া দিশা ট্রেনিং এন্ড রিসোর্স সেন্টারে এ সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ(ডিএমপি)-এর কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উদ্যোগে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের সহযোগিতায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রহমত উল্লাহ চৌধুরী, বিপিএম (বার)।
কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের সহযোগিতায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজমুল আরেফিন, কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি আল মামুন সাগর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) ফরহাদ হোসেন খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলাম'সহ প্রমুখ।পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রাজিবুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, কুষ্টিয়ার বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আজকের সেমিনারের প্রতিপাদ্য বিষয় 'নিজে সচেতন হবো অন্যকে সচেতন করবো।' এই বাণী আমরা চতুর্দিকে ছড়িয়ে দিবো, সংক্রামক ভাইরাসের মত করে ছড়িয়ে দিবো। সন্ত্রাসকে না বলুন; এটি আজকের মূল প্রতিপাদ্য। হতাশা থেকে মানুষ জঙ্গিবাদের দিকে জড়িয়ে যাচ্ছে। প্রয়োজনের তাগিদে চলে যাচ্ছে, নেশা ঘরে ঘরে ঢুকে যাচ্ছে। মানুষের আছে মানবিকতা আর পশুর আছে পাশবিকতা। এই মানবিকতা দিয়ে বিচার করে আমাদের জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ থেকে বিরত থাকতে হবে। উগ্রবাদ ও জঙ্গীবাদ নির্মূলে অভিভাবকদেরকে আমাদের কোমলমতি ছেলে-মেয়ের গতিবিধি ও ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।