নওগাঁয় ঢাকা কলেজ ফাউন্ডেশনের শীতবস্ত্র বিরতণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
রিফাত হোসাইন সবুজ, জেলা প্রতিনিধি, নওগাঁ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১৮ই জানুয়ারী ২০২২ ০৮:৫১ অপরাহ্ন
নওগাঁয় ঢাকা কলেজ ফাউন্ডেশনের শীতবস্ত্র বিরতণ

নওগাঁর মহাদেবপুরে ঢাকা কলেজ এইচএসসি ৮৯ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ৫০০ শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলার উত্তরগাম আখতার সিদ্দিকী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৫০০জন দুস্থ-অসহায়দের মাঝে এসব শীতবস্ত্র  বিতরণ করা হয়।


স্থানীয় উত্তর গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হাসান এর সভাপত্বিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন ঢাকা কলেজ এইচএসসি '৮৯ ফাউন্ডেশনের কার্যকরী পরিষদের সদস্য আসফ কবির চৌধুরী (শত)। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা লাইব্রেরীয়ান এস এম আসিফ, ইউনিয়নয়  পরিষদ সদস্য সাইদুর ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান মানিক প্রমুখ।


শীতবস্ত্র পেয়ে উত্তরগ্রামের সখিনা খাতুন বলেন, খুব শীত বাপো। হাত ঠান্ডা হইয়া হইয়া যাচ্ছে। দিন ও রাতোত সব সময় খুব শীত লাগিচ্ছে। গরীব মানুষ তাই এবার মোটা কম্বল কিনবার পারিনি। আজক্যা কবির চৌধুরী বাপ হামাকোক মোটা কম্বল দিছে। কম্বলডা পাইয়া খুবই উপকার হচে। আরও গবীর অসহায় মানুষের পাশে যান দাঁড়াবার পারে সেই দোয়া করিচ্ছি।


স্থানীয় বামনসাতা গ্রামের হবিবুর রহমান বলেন, বাপোরে খুব শীত পড়িছে। শীত পড়া মেল্যাদিন হলো কেউ কম্বল দেয়নি হামাকোক। মোটা কম্বল কিনবার মত সামর্থ্যও নাই হামার। আজক্যা মোটা কম্বল পাইয়া যে কি উপকার হলো তা বুঝাবার পারমুনা। যারা আজক্যা কম্বলগুলা দিলু তারা যান সব সময় ভালো থাকে, সুস্থ্য থাকে এই দোয়া করি।


পলী পাড়া গ্রামের লাকী খাতুন বলেন, হামার স্বামী ভ্যান চালায়। এক ছোল আছে ৮বছরের। এবার সরকারি বা বেসরকারিভাবে কেউ শীতের কম্বল দেয়নি। আর কম্বল কিনার মত ট্যাকাও নাই। আজক্যা তিনডা মোটা কম্বল পাইছি। এডা পাইয়া অনেক উপকার হলো। ঠান্ডা নিবারণ করার মত একটা গোত হলো হামাকেরে।


ঢাকা কলেজ এইচএসসি '৮৯ ফাউন্ডেশনের কার্যকরী পরিষদের সদস্য আসফ কবির চৌধুরী (শত) বলেন, আমি এই এলাকারই সন্তান। ঢাকা কলেজের ১৯৮৯ সালের ব্যাচে আমরা যারা শিক্ষার্থী ছিলাম তাদের নিয়ে ঢাকা কলেজ ফাউন্ডেশন করেছি। বর্তমানে আমাদের ব্যাচের অনেকই চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশায় কর্মরত আছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আমরা চেষ্টা করেছি বিভিন্নভাবে অসহায় মানুষের পাশে সহয়তার হাত বাড়িয়ে দেয়ার। তারই ধারবাহিকতায় আজকে প্রায় ৫০০জন অসহায় মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলো। আমরা চাই সমাজের যারা সামর্থ্যবান আছেন, তারা যেন চারপাশের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। আমাদের একটু সহায়তায় তাদের মুখে হাঁসি ফুটে উঠবে।