বরিশালের হিজলা উপজেলায় নিবন্ধিত জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও দেশীয় মাছ সংরক্ষণের লক্ষ্যে ৩৫ জন জেলের মাঝে একটি করে বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়েছে। "দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প" (প্রথম সংশোধিত) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আওতায় এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় উপজেলা পরিষদ মাঠে বাছুর বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। এ কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করেছে হিজলা সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিস।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তারা জানান, নিবন্ধিত জেলেদের আর্থিক সহায়তা ও বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলেরা যাতে মাছ আহরণে নির্ভরতা কমিয়ে গবাদিপশু পালনে আগ্রহী হন এবং দীর্ঘমেয়াদে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন, সেজন্য এই বাছুর বিতরণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসানুল হাবীব আল আজাদ জনি, উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. তবজিল আহমেদ শুভ, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলামসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মৎস্য দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, "দেশীয় মাছ সংরক্ষণ এবং জেলেদের বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করাই সরকারের মূল লক্ষ্য। জেলেরা এই বাছুরগুলো লালন-পালনের মাধ্যমে আর্থিক স্বাবলম্বিতা অর্জন করতে পারবেন এবং দীর্ঘমেয়াদে তাদের জীবনমানের উন্নতি হবে।"
জেলেরা জানান, মাছ ধরার ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে গবাদিপশু পালনের সুযোগ পেয়ে তারা খুশি। তারা এই উদ্যোগের প্রশংসা করে জানান, এটি তাদের আয়ের নতুন পথ তৈরি করবে।
সরকারের এ কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এতে শুধু জেলেদের জীবিকা নয়, বরিশালের দেশীয় মাছের প্রজাতিও সংরক্ষিত হবে।
উপজেলা মৎস্য দপ্তর জানিয়েছে, ভবিষ্যতে আরও নিবন্ধিত জেলেদের জন্য এ ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে এবং জেলেদের উন্নয়নের জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।