বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে অষ্টম অংশীদারত্ব সংলাপে বসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড। রোববার (২০ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শুরু হয় এ সংলাপ।
এবারের সংলাপে বাংলাদেশ গুরুত্ব দিচ্ছে র্যাব এবং এর বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বাণিজ্য-বিনিয়োগ, ইন্দো-প্যাসিফিক জোট ও সামরিক যোগাযোগে গুরুত্ব দিচ্ছে।
সংলাপে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় আসেন। সংলাপে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, এবারের সংলাপ হতে পারে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের নতুন বাঁক নেওয়ার বিন্দু (টার্নিং পয়েন্ট)। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বাংলাদেশের অনেক কিছু চাওয়ার ছিল, কিন্তু সম্প্রতি বিশ্ব ও আঞ্চলিক রাজনীতিতে বাংলাদেশের কাছেও যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চাওয়ার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার ঘটনায় যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে বিশ্ব রাজনীতির পাশাপাশি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নিজের অবস্থান সুসংহত করার বিষয়টি আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ভূরাজনীতির দিক থেকেও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ঢাকার কূটনীতিক সূত্রের দাবি, বাইডেন প্রশাসনে ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড প্রভাবশালী কর্মকর্তা। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে তার ঢাকা সফরে দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, সপ্তম বাংলাদেশ-মার্কিন অংশীদারত্ব সংলাপ হয়েছিল ২০১৯ সাল। যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে বঙ্গোপসাগরে এটি মেরিটাইম ডোমেইন অ্যাওয়ারনেস, জলদস্যুতা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা সমন্বয় বাড়াতে বাংলাদেশকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা সহায়তা দেবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।