যুদ্ধের মাঝেই ভারত সফরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার ১৭ই এপ্রিল ২০২২ ০৭:০৮ অপরাহ্ন
যুদ্ধের মাঝেই ভারত সফরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের জেরে বিশ্ব রাজনীতির অনেক হিসেবই ওলটপালট হয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারতের অবস্থান নিয়ে কিছুটা ক্ষুব্ধ আমেরিকা। আবার যুদ্ধের আবহে ইউরোপ, আমেরিকার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মস্কোর সঙ্গে সখ্যতা বাড়িয়েছে নয়াদিল্লি। এমন পরিস্থিতে চলতি মাসে ২ দিনের সফরে আসছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন । শনিবারই তাঁর ভারত সফরের দিনক্ষণ জানিয়েছেন জনসন।


ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর কুরসিতে বসার পর এটাই জনসনের প্রথম ভারত সফর। ইতিপূর্বে দিনক্ষণ ঠিক হয়েও করোনা পরিস্থিতির জন্য তাঁকে সফর স্থগিত করতে হয়েছিল। কোভিড পরিস্থিতির খানিকটা উন্নতি হতেই ২১ এপ্রিল দু’দিনের ভারত সফরে আসছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। লক্ষ্য, ২০৩০ পর্যন্ত ভারত-ব্রিটেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের রোডম্যাপ তৈরি।


ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে ‘ব্রেক্সিটের’  পর থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে চাইছে ব্রিটেন। ইন্দো-পেসিফিক অঞ্চলে (প্রতিরক্ষা এবং বিদেশনীতির ক্ষেত্রে ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে চিহ্নিত করেছে ইউরোপের এই দেশটি। সেক্ষেত্রে জনসনের এই সফর দু’দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।


তবে তাঁদের ধারনা, এবার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা ছাড়াও মোদি-জনসনের আলোচনার সিংহভাগ জুড়ে থাকবে কিয়েভ-মস্কোর সংঘর্ষ। সম্প্রতি যুদ্ধবিধ্বস্ত কিয়েভ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন জনসন। সেখানে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে রাস্তায় ঘুরতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ভারত সফরে তাঁর সেই অভিজ্ঞতার কথাই মোদির কাছে তুলে ধরতে পারেন জনসন। উল্লেখ্য, রাশিয়া সফরের জন্য ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীকে ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে রাশিয়া।


প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের  শুরুতেই ভারতে আসার কথা ছিল জনসনের। সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন তিনি। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির জেরে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি। সেই সময়ে ভারতে সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ব্রিটেনে দাপাচ্ছিল কোভিড-১৯ । পরে ঠিক হয়, এপ্রিলে ভারতে আসবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু ওই সময় থেকেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছিল ভারতে। পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে বাতিল হয় সেই সফরও। প্রথমে ঠিক হয়েছিল সফর কাটছাঁট হবে। পরে তা পুরোপুরি বাতিল করে দেয় ব্রিটেন প্রশাসন। অবশেষে এবার মোদিন ডাকে সাড়া দিয়ে ভারতে আসছেন জনসন।