ছেলে পাবজি এবং ইনস্টাগ্রামে আসক্ত। বার বার বারণ করা সত্ত্বেও না শোনায় মারধর করেন মা। এই রাগেই মায়ের মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোর। এই ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের লখনউ’র পঞ্চমখেদা যমুনাপুরম কলোনিতে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
খবরে বলা হয়, নিহত মায়ের নাম সাধনা সিংহ (৪০)। খুন করার পর মায়ের মৃতদেহ তিন দিন ধরে ঘরের ভিতরেই লুকিয়ে রেখেছিল ১৬ বছরের কিশোর। পাশাপাশি ছোট বোনকে হুমকি দেয় যে, পুলিশ বা অন্য কাউকে এই বিষয়ে কিছু বললে সে তাকেও খুন করবে। মঙ্গলবার (৭ জুন) মৃতদেহে পচন ধরলে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করে। প্রতিবেশীরা পুলিশকে এই বিষয়ে জানালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ছেলেকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জেরার মুখে নিজের দোষ স্বীকার করে বলেও জানা গেছে। এরপর পুলিশ নিহতের স্বামীকে পুরো ঘটনা জানায়। নিহতের স্বামী নবীন সিংহ ভারতীয় সেনাবাহিনীর সুবেদার মেজর (জেসিও)। তিনি বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে কর্তব্যরত রয়েছেন।পুলিশ জানায়, গত শনিবার রাতে সাধনা দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। ভোর ৩টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে বাড়িতে থাকা নবীনের লাইসেন্সপ্রাপ্ত পিস্তল বের করে মায়ের মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায় ছেলে। ঘটনাস্থলেই সাধনার মৃত্যু হয়। এরপরই ছোট বোনকে হুমকি দিয়ে অন্য ঘরে শুতে চলে যায় সে।
অভিযুক্তের বোন পুলিশকে জানিয়েছে, এই দু’দিনে তার অভিযুক্ত ভাই বার বার মায়ের মৃত দেহের ঘরে যেত এবং দুর্গন্ধ যাতে না ছড়িয়ে পড়ে, তার জন্য সুগন্ধী ব্যবহার করতো। কিন্তু মঙ্গলবার দুর্গন্ধের মাত্রা বাড়লে অভিযুক্ত কিশোর তার বাবা নবীনকে ফোন করে বলে যে, তাদের মাকে কে বা কারা খুন করেছে এবং আততায়ীরা তাদের দুই ভাই-বোনকে ঘরে আটকে রেখেছে। এরপরই নবীন প্রতিবেশী দীনেশ তিওয়ারিকে ফোন করে খোঁজ নিতে বলেন। দীনেশই তাদের ঘরে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশকে অভিযুক্ত কিশোর জানিয়েছে, সে সবসময় পাবজি খেলতো বলে তার মা তাকে মারধর করতো। এমনকি ঘটনার দিন তাদের ঘর থেকে ১০ হাজার টাকা চুরি যাওয়ায় সেই দোষও তার ঘাড়ে এসে পড়ে। এই নিয়েও তার মা তাকে সন্দেহ করে এবং মারধর করে। এছাড়া বাড়িতে কিছু হলে তার মা তাকেই মারধর করতো। কিন্তু শনিবার মায়ের কাছে মার খাওয়ার পরই সে তার মাকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।