যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার নিজের রাজনৈতিক দলে বিদ্রোহের সম্মুখীন হয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি পদত্যাগ করার আগে তার সরকারের আরও অনেক শীর্ষ পর্যায়ের মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।
এ বিষয়ে বরিস বলেছেন যে তিনি নতুন মন্ত্রিসভা নিয়োগ করেছেন। নতুন উত্তরসূরি নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকবেন।
১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের দরজায় দাড়িয়ে বরিস জনসন বলেন, ‘নতুন নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া এখনই শুরু হওয়া উচিত। আজ আমি একটি মন্ত্রিসভা নিযুক্ত করেছি। নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত আমি আমার দায়িত্ব পালন করে যাব।’
তিনি বলেন, তার মেয়াদকাল শেষ না করতে পারার ব্যাপারটা তার জন্য ‘বেদনাদায়ক’ ছিল। তিনি তার রাজনৈতিক দলকে তার প্রতি অব্যাহত সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে রাজি করাতে সফল হননি।
এ বিষয়ে অনুশোচনা করে তিনি বলেন, তার দলের মধ্যে (বরিস জনসনবিরোধী) একটি পক্ষ খুব শক্তিশালী। এ সময় তিনি তার কর্মকাণ্ডের জন্য কোনো ক্ষমা চাননি। বরিস জনসন জানিয়েছেন, ‘তার প্রস্থানের জন্য একটি সময়সূচি আগামী সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে।’
এ সময় তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি আপনাদের জানাতে চাই বিশ্বের সেরা কাজটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য আমি দুঃখিত।’
এর আগে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী প্রাথমিকভাবে লড়াই ছাড়া পদত্যাগ করতে অস্বীকার করেছিলেন। এ সময় তার ঘনিষ্ঠ মিত্র ও মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল গভকে বরখাস্ত করেছিলেন। জনসনকে গভ বলেছেন, আপনার সময় শেষ হয়েছে। তিনি চেষ্টা করেছিলেন যেন জনসন এটা নিজের মুখে স্বীকার করেন।
এর আগে মঙ্গলবার থেকে এখন পর্যন্ত ৫০ জনের বেশি মন্ত্রী বর্তমান সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন। কনসারভেটিভ পার্টির এমপি ও সাবেক ডেপুটি চিফ হুইপ ক্রিস পিনশারের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন অসদাচরণের অভিযোগের বিষয়গুলো যেভাবে প্রধানমন্ত্রী সামাল দিয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর চলতি বিদ্রোহের সূত্রপাত ঘটে।
পিনশারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে তিনি একজনের ওপর যৌন হামলা চালিয়েছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পরও জনসন কেন তাকে ডেপুটি চীফ হুইপ নিয়োগ করেন? এমন বিভিন্ন অভিযোগের কারণেই মূলত তোপের মুখে পড়েন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
সূত্র : বিবিসি, আল-জাজিরা
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।