বিশ্বের অর্ধেক মানুষই ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে: ডব্লিউএইচও

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার ২২শে জুলাই ২০২৩ ১১:১৬ পূর্বাহ্ন
বিশ্বের অর্ধেক মানুষই ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে: ডব্লিউএইচও

বিশ্বের অর্ধেক মানুষই ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)।শুক্রবার (২১ জুলাই) মশাবাহিত এবং ভাইরাসজনিত এ রোগটি নিয়ে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।


জাতিসংঘের এক সংবাদ সম্মেলনে এ সতর্কবার্তা দেন ডাব্লিউএইচওর গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগের ইউনিট প্রধান রমন ভেলাউধন জেনেভায়।সেখানে তিনি বলেন, ২০০০-২০২২ সালের মধ্যে ডেঙ্গুর রোগীর সংখ্যা আটগুণ বৃদ্ধি রেকর্ড করেছে ডাব্লিউএইচও। এ সময়ের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখ থেকে বেড়ে ৪২ লাখ হয়েছে।


সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডেঙ্গু নিয়ে আরও সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়ায় তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা এর চেয়েও অনেক বেশি হতে পারে।তিনি বলেন, বিশ্ব মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে আছে। ১২৯টি দেশকে এটি প্রভাবিত করতে পারে। এছাড়া এখন প্রতিদিনই প্রায় ১০০ থেকে ৪০০ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর নথিভুক্ত হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।


রমন ভেলাউধন বলেন, ডেঙ্গু একটি গুরুতর অসুস্থতা। এটি সাধারণত মশার কামড়ের মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির কাছে ছড়িয়ে পড়া একটি ভাইরাল সংক্রমণ। আর ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে ডেঙ্গু হতে পারে উপসর্গবিহীন। এর বিরুদ্ধে বর্তমানে একমাত্র ভ্যাকসিন হলো সানোফি পাস্তুর।ডেঙ্গুর এ ভ্যাকসিনটি ব্যবহারের জন্য প্রায় ২০টি দেশে নিবন্ধিত আছে। এটি শুধু তাদের ক্ষেত্রে কাজ করে যারা একবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর জন্য তাদের তিনটি ডোজ নিতে হয়।


ডাব্লিউএইচওর গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগের ইউনিট প্রধানের মতে, ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি সংস্করণের (১, ২, ৩ ও ৪) বিরুদ্ধে এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা গড়ে প্রায় ৬৫ শতাংশ। ভ্যাকসিনটি ডেঙ্গু ১ ও ডেঙ্গু ৩-এর বিরুদ্ধে ৮০ শতাংশ এবং ডেঙ্গু ৪-এর বিরুদ্ধে প্রায় ৫০ শতাংশ কার্যকর। তবে ডেঙ্গু ২-এর ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কম।


রমন ভেলাউধন আরও বলেন, ডেঙ্গুর বিভিন্ন সংস্করণের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনের বিভিন্ন কার্যকারিতা একটি চ্যালেঞ্জ। প্রতি বছর ডেঙ্গুতে প্রায় ৪০ থেকে ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। তবে অনেক দেশ আছে যারা ডেঙ্গুতে মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য ডব্লিউএইচওকে জানায় না।ডাব্লিউএইচওর কর্মকর্তা ভেলাউধন বলেন, মৃত্যুর হার বেশিরভাগ দেশে প্রায় এক শতাংশেরও কম এবং আমরা এটি আরও কমানোর প্রত্যাশা করছি।