কলাপাড়ার আক্কেলপুর নুড়িয়া মাদ্রাসায় টাকা না দিলে মিলে না উপবৃত্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বুধবার ৮ই মে ২০২৪ ০৯:৫৮ অপরাহ্ন
কলাপাড়ার আক্কেলপুর নুড়িয়া মাদ্রাসায় টাকা না দিলে মিলে না উপবৃত্তি

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নিলগঞ্জ ইউনিয়নের আক্কেলপুর নুরিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেন্ডেট আবদুল মান্নানের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে উপবৃত্তি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। টাকা না দিলে মিলে না উপবৃত্তি।এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংঙ্গচুর, নিয়োগ বানিজ্য সহ নানা অভিযোগ রয়েছে এই সুপারিন্টেন্ডেন্টের বিরুদ্ধে। 

 

 সরেজমিনে শিক্ষার্থীরা জানান, ৬'শ টাকা দিলে সবাইকে উপবৃত্তি পাইয়ে দেবেন এমন কথা বলে অর্থ আদায় করেছেন আব্দুল মান্নান। অনেক শিক্ষার্থীরা টাকা দিলেও তাদের নাম উপবৃত্তির তালিকার নেই।

ষষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষার্থী মোসাম্মৎ নুসরাত, মো: সোলায়মান,গোলাম রাব্বি, মোঃ জুবায়ের  বলেন, মান্নান হুজুর বলেছেন উপবৃত্তি পেতে হলে ৬'শ টাকা করে দিতে হবে। এজন্য আমি হুজুরের কাছে ৬শ'ত টাকা দিয়েছি উপবৃত্তির পাবার জন্য। 


অষ্টম শ্রেণী শিক্ষার্থী বনি আমিন বলেন, উপবৃত্তির তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমার বাবা মাদ্রাসায় এসে হুজুরের কাছে ছয়শ টাকা দিয়ে গেছে। দশম শ্রেনির শিক্ষার্থী নাদিয়া জানান, উপবৃত্তির জন্য অনেক আগে আমি ৬’শ টাকা দিয়েছি। এবছর টাকা দেয়নি। এমন অভিযোগ রয়েছে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর।


সহকারি মৌলভী,শিক্ষক আব্দুল মজিদ জানান, উপবৃত্তির জন্য শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অফিস খরচের জন্য ৬শত টাকা করে নিয়েছে সুপার স্যার। অনেকের কাছ থেকে ৬'শ টাকার কমও নিয়েছে। সহকারী সুপারিনটেন্ডেট আবুল কালাম বলেন, উপবৃত্তি পাইয়ে দেওয়ার জন্য অফিস খরচ বাবদ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করছে। কত টাকা উত্তোলন করছেন তা আমার জানা নেই। কারণ আমরা শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যস্ত থাকি।


এবিষয় আক্কেলপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেন্ডেট আব্দুল মান্নান বলেন, আমি ছাত্র ছাত্রীর কাছ থেকে  ভর্তি থেকে এ পর্যন্ত ৬’শত টাকা করে নিয়েছি। উপবৃত্তির টাকা উত্তোলনের সাথে শিক্ষকরা জড়িত। আমি না। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, উপবৃত্তি পেতে টাকা দিতে হবে কেন। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহনের করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।