ফিলিপিন্সে ভয়াবহ অগ্নুৎপাতের আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার ১৩ই জানুয়ারী ২০২০ ০৪:৩৩ অপরাহ্ন
ফিলিপিন্সে ভয়াবহ অগ্নুৎপাতের আশঙ্কা

ফিলিপাইনে ‘তাল’ আগ্নেয়গিরি সক্রিয় হয়েছে। ওই দেশে এটি হলো সবচেয়ে সক্রিয় দ্বিতীয় আগ্নেয়গিরি। এ থেকে আজ সোমবার খুব সকাল থেকেই লাভা উদগীরণ শুরু হয়েছে। কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে, কয়েক ঘন্টা বা কয়েক দিনের মধ্যে তা থেকে ভয়াবহভাবে লাভা উদগীরণ শুরু হতে পারে।

দেশটির রাজধানী ম্যানিলা থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে তাল আগ্নেয়গিরির অবস্থান। আজ সকালে সেখান থেকে সাদা ‘অ্যাশ’ বা ছাইভষ্ম আকাশে উড়তে শুরু করে। এর পরই সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে ৮০০০ মানুষকে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

তাল আগ্নেয়গিরিটি একটি তাল লেক বা হ্রদের ভিতর অবস্থিত দ্বীপের মধ্যস্থানে অবস্থিত। এটি বিশ্বের সবচেয়ে ছোট আগ্নেয়গিরির অন্যতম। গত ৪৫০ বছরে এখান থেকে কমপক্ষে ৩৪ বার অগ্নুৎপাত হয়েছে। ফিলিপাইন ইন্সটিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি এক বিবৃতিতে বলেছে, তাল আগ্নেয়গিরি অস্থির অবস্থার দিকে যাচ্ছে।

স্থানীয় সময় রাত ২টা ৪৯ মিনিট থেকে ভোর ৪টা ২৮ মিনিটের মধ্যে সেখান থেকে উদগীরণের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। আলোকরশ্মি বিকিরণ ও বিদ্যুতস্ফুলিঙ্গেরও সৃষ্টি হচ্ছে। পরিচালক রেনাতো সোলিডাম বলেছেন, ছাইভষ্ম, পাথর ও গ্যাস উৎক্ষিপ্ত হচ্ছে ঘন্টায় কমপক্ষে ৬০ কিলোমিটার বেগে। ওই এলাকায় সর্বোচ্চ ৫ মাত্রার মধ্যে প্রথমে ৩ থেকে ৪ মাত্রার এলার্ট জারি করা হয়। কর্তৃপক্ষ অগ্নুৎপাতের ফলে সুনামির সতর্কতা দিয়েছে।

তাল আগ্নেয়গিরি সম্পর্কে কিছু তথ্য: ২৩০ বর্গকিলোমিটারের লেক তাল-এর মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত সক্রিয় আগ্নেয়গিরি তাল। তাল একটি জটিল আগ্নেয়গিরি। এর অর্থ হলো অন্য আগ্নেয়গিরির আকৃতি হয় কোণের মতো। অর্থাৎ তার একটি জ্বালামুখ থাকে। কিন্তু তাল-এর তা নয়। এর একাধিক জ্বালামুখ রয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা পরিবর্তিত হয়।

একে আগ্নেয়গিরির মধ্যে আগ্নেয়গিরি হিসেবে অভিহিত করা হয়। বলা হয়, অত্যন্ত বিপজ্জনক এটি। প্রায় ৫০০ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ৩০ বার বিভিন্নভাবে তাল থেকে অগ্নুৎপাত হয়েছে। সম্প্রতি অগ্নুৎপাত হয়েছে ১৯৭৭ সালে। ১৯১১ সালের অগ্নুৎপাতে নিহত হয়েছেন প্রায় ১৫০০ মানুষ। ১৯৭৪ সালের উদগীরণ স্থায়ী হয় বেশ কয়েক মাস।

ইনিউজ ৭১/এম.আর