লক্ষণবিহীন রোগীদের নিয়ে নতুন করে বিপদে চীন
চীনের উহানে প্রথম করোনায় হানা দেয়। সেখান থেকে নিজেদের অনেকটা গুছিয়ে নিয়েছিল চীন। নতুস করে করোনায় আকান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা নেমেছিল শূন্যে। এ যেন চীনের এক অভাবনীয় সাফল্য। তবে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে চীনে। তবে এসব রোগীদের মধ্যে কোনো লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে না। যার জন্য এ ধরনের রোগীদের নিয়ে নতুন করে উদ্বিগ্ন সৃষ্টি হয়েছে চীনে। এসব রোগী নতুন করে সংকটের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
নিজেদের অসুস্থতার কথা না জেনেই তারা ফের ভাইরাসটি ছড়িয়ে দিতে পারে বলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত এ ধরনের রোগী ৪০ হাজারের বেশি। এক্ষেত্রে নতুন সংক্রমণ গোপন না করতে দেশের জনগণ ও কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাণঘাতী রোগ কোভিড-১৯ এর নিয়ন্ত্রণে উপসর্গবিহীন আক্রান্তরাই সবচেয় বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে হাজির হতে পারে। তাদেরকে শনাক্ত করতে না পারলে রোগটির সংক্রমণ বন্ধও কঠিন হয়ে যাবে।
চীনে এ ধরনের উপসর্গবিহীন আক্রান্তের সংখ্যা গোপন রাখা হয়েছে, তাদেরকে আক্রান্তের মোট সংখ্যায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অপ্রকাশিত কিছু নথির সূত্র ধরে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট দেশটিতে উপসর্গবিহীন আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজারেরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা দিয়েছে।
মঙ্গলবার পর্যন্ত চীন মোট ৮১ হাজার ২১৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্তের কথা জানিয়েছে। মৃত্যুর খবর দিয়েছে তিন হাজার ২৮১ জনের। উপসর্গবিহীন এ আক্রান্তদের খোঁজ বের হচ্ছে মূলত শনাক্ত হওয়া ব্যক্তির ‘সংস্পর্শে আসা’ ব্যক্তিদের পরীক্ষার মাধ্যমে। পরীক্ষায় যাদের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মিলছে, উপসর্গ থাকুক না থাকুক, তাদের স্থান হচ্ছে কোয়ারেন্টিনে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।