অবশেষে পুলিশে চাকুরি হলো ভূমিহীন সেই আসপিয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচ.এম.এ রাতুল, জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল।
প্রকাশিত: রবিবার ২৬শে ডিসেম্বর ২০২১ ০৪:২৬ অপরাহ্ন
অবশেষে পুলিশে চাকুরি হলো ভূমিহীন সেই আসপিয়ার

অবশেষে বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পেয়েছেন বরিশালের হিজলার আলোচিত ‘ভূমিহীন’ কলেজছাত্রী আসপিয়া ইসলাম। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছেন বলে রবিবার বিকেলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। স্বপ্নের চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ায় উৎফুল্ল আসপিয়া ও তার পরিবার। বিশেষ করে তার মা প্রধানমন্ত্রীসহ দেশবাসীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের পাশাপাশি আসপিয়াসহ সকল সন্তানের জন্য দোয়া চেয়েছেন।


এদিকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বরাদ্দ পেয়ে খুশি হয়েছে আসপিয়ার পরিবার। যে ঘরের নির্মাণ কাজও প্রায় শেষের দিকে। এরমধ্য দিয়ে তাদের বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার হিজলাতে নিজেদের মাথা গোজার ঠাই হয়েছে। সব মিলিয়ে বেশ উচ্ছসিত আসপিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা। 


থানা সূত্রে জানাগেছে, জেলা পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত নিয়োগপত্র আসপিয়ার হাতে গতকাল তুলে দেন হিজলা থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ মিজান। নিয়োগপত্রে আগামী ২৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টার মধ্যে তাকেসহ চূড়ান্ত নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীদের জেলা পুলিশ লাইনে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সেখান থেকে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে আনুষ্ঠানিকতা শেষে মহিলা টিআরসিদের ৬ মাসের প্রশিক্ষণের জন্য রংপুরে পাঠানো হবে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।


প্রসঙ্গত: নিজ যোগ্যতা বলে সাত স্তরের পরীক্ষায় পঞ্চম হয়ে উর্ত্তীর্ণ হওয়ার পরও স্থায়ী ঠিকানা না থাকায় কলেজছাত্রী আসপিয়ার চাকরি হওয়া নিয়ে শংকা দেখা দেয়। এতে মাসনিকভাবে ভেঙে পড়েন পিতৃহীন আসপিয়া ও তার পরিবার। পরে গত গত ৮ ডিসেম্বর বরিশাল জেলা পুলিশ লাইনে রেঞ্জ ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামানের কাছে গিয়েছিলেন আসপিয়া। ডিআইজি আসপিয়ার প্রতি সমবেদনা জানালেও তাকে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে পারেননি। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হলে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আসপিয়াকে জমিসহ ঘর এবং যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।


জেলা প্রশাসন তার জন্য হিজলায় খাস জমিতে ২ কক্ষবিশিষ্ট একটি সেমিপাকা ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। ঘরটি নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।