ডাসারে বিয়ে মাধ্যমে প্রতারনা করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আতিকুর রহমান, জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: সোমবার ৬ই মে ২০২৪ ১০:১৩ অপরাহ্ন
ডাসারে বিয়ে মাধ্যমে প্রতারনা করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মাদারীপুরের ডাসারে বিয়ের নামে প্রতারনা করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।স্থানীয় ভাবে ন্যায় বিচার না পেয়ে ডাসার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী স্বামী মোঃ ওসমান বেপারী। 


ভুক্তভোগীর অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের বেতগ্রাম এলাকার বিবেকানন্দ সরকার এর মেয়ে স্বপ্না সরকার ওরফে তাসলিমা আক্তার স্বপ্না হিন্দুর্ধম থেকে গত ২৭-০৯-২০২২ইং নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে ঢাকা সাভারের গেন্ডা এলাকার মোঃ আবু বক্করের ব্যবসায়ী ছেলে মোঃ ওসমান বেপারীকে গত ২৬-০৯-২০২২ইং সালে ইসলামী শরীয় ও নিকাহনামার মাধ্যমে ৫,০০০০০/ টাকা দেন মোহরানায় বিয়ে করেন। প্রায় দেড় বছর ঘর সংসার করেন। প্রথমে গত ২২-১০-২০২৩ ইং তারিখ স্বামী ওসমান বেপারী তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে থাকার সুযোগে নগত ৩,২৩,০০০/ টাকা ও ৪ ভরি স্বর্ন অলংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তার পিতা মাতা ও স্থানীয় মাতুব্বরদের সহযোগীতায় স্ত্রী তাসলিমা আক্তার স্বপ্নাকে ফিরিয়ে নেন এবং পুনরায় দুজনে সংসার করে আসছিল।


গত ২১-০৪-২০২৪ইং তারিখে দ্বিতীয় বার আবার ঘরে থাকা নগদ ৪,০০০০০/ চার লক্ষ টাকা ও ১ ভরি স্বর্ন অলংকার নিয়ে পালিয়ে তার পিতা-মাতার কাছে চলে যায়। দুইবারে নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার যার আনুঃমুল্য ১২,০০০০০/ বার লক্ষ টাকা নিয়ে যায়।


ভুক্তভোগী মোঃ ওসমান বেপারী বলেন, আমার সাথে বিয়ের নামে প্রতারনা করেছে তাসলিমা আক্তার স্বপ্না। সে হিন্দুধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে আমাকে বিয়ে করেছে। আমি প্রতিমাসে বিকাশের মাধ্যমে ওর পিতা-মাতাকে আট হাজার করে টাকা দিয়েছি। আমার থেকে টাকা পয়সা নিয়ে স্বপ্না ওর পিতা-মাতার ঘরে ফ্রীজ থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় মালামাল ক্রয় করে দিয়েছে।


স্বপ্না দুইবারে আমার কাজ থেকে প্রায় ১২,০০০০০/ বারো লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আমি আমার স্ত্রী তাসলিমা আক্তার স্বপ্নাকে ফেরত চাই।অভিযুক্ত তাসলিমা আক্তার স্বপ্না বলেন, আমাকে প্রতারনার মাধ্যমে বিয়ে করেছে ওসমান।আমি কোন টাকা পয়সা নিয়ে আসিনি। আমি মাঝে মধ্যে গিয়ে ওসমানের বাসায় থাকতাম।


নবগ্রাম ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল তালুকদার বলেন, ওসমান আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে এবং ওর অভিযোগের তথ্য প্রমান আমার মোবাইলে পাঠিয়েছে। তার ভিক্তিতে আমি স্বপ্নাকে ডেকে ছিলাম। স্বপ্নার ভাই দেবাশিষ বলেছে আমরা সমাধান হয়ে যাব।এ ব্যপারে ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার সময় কোন অভিযোগ পাইনি। শুনেছি এটা সাভারের ঘটনা। যা কিছু করতে হয় সাভার থানায় করতে হবে।