মাদারীপুরে অপহরণের ৬ ঘন্টা পর দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বেলায়েত খান (৪৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে মূল অপহরণকারী বাবু হাওলাদারের নামে মামলা হলেও সে পলাতক রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) রাতে সদর উপজেলার কালিকাপুর থেকে অপহৃত ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়। অপহৃত শিক্ষার্থী মাদারীপুর সরকারি সুফিয়া মহিলা কলেজের মানবিক বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৯ এপ্রিল সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামের ফারুক হাওলাদারের ছেলে বাবু হাওলাদারের সাথে ওই শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়। বিয়ের ৮ দিনের মাথায় ওই শিক্ষার্থী বাবুকে তালাক দেয়। এরপর থেকে শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন সময় পথে ঘাটে উত্যক্ত করে আসছে অভিযুক্ত বাবু। ভয়ে মেয়েটিকে রাজধানী ঢাকার এক আত্মীয়ের বাসায় রেখেছিলো মেয়েটির পরিবার।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে নিজের বাড়িতে আসে মেয়েটি। তার বিয়ের জন্য বাড়িতে মেহমান আসছে এমন খবরে দুপুরে সাবেক স্বামী বাবু দেশী অস্ত্রশস্ত্রসহ লোকজন নিয়ে মেয়েটির বাড়িতে হামলা চালায় এবং ভাংচুর করে।
বাঁধা দিতে এলে নারীসহ ৩জনকে পিটিয়ে আহত করে হামলাকারীরা। এক পর্যায়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বাবু ও তার সহযোগীরা।
খবর পেয়ে অভিযানে নামে পুলিশ। এবং রাতেই রাতে সদর উপজেলার কালিকাপুর থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সবাই পালিয়ে গেলেও বাবুর সহযোগী বেলায়েত খানকে আটক করে পুলিশ।
পরে রাতেই নির্যাতিতার মা বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় বাবুকে প্রধান আসামী করে ১৩ জনের নামে মামলা করেন।
আজ শুক্রবার (৬ আগস্ট) দুপুরে বেলায়েতকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন মেয়েটির পরিবার ও এলাকাবাসী।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।